নয়াদিল্লি: রাজধানীর কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হলুদ সতর্কতা জারি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায়, আর ঝুঁকি নিতে নারাজ কেজরিওয়াল। এ দিন একাধিক বিধিনিষেধ তিনি জারি করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশ, মেট্রোয় ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। বেসরকারি অফিসগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রতিদিন অর্ধেক সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। দিল্লির হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিকেও বলা হয়েছে, অতিথি ৫০ শতাংশ আসনে সীমিত রাখতে হবে।
কোনও শহরে কোভিড পজিটিভিটির হার পরপর দু-দিন ০.৫ শতাংশের ওপর থাকলে, সেখানে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়। দিল্লিতে বিগত কয়েক দিন ধরেই সংক্রমণের হার ০.৫ শতাংশের বেশি বলে দাবি করেন কেজরি।সংক্রমণে রাশ টানতে রাজধানীতে রাত্রিকালীন কারফিউ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। সোমবার থেকেই রাত্রে লকডাউন চলছে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে।
ওমিক্রন আতঙ্কে বড়দিন উদযাপনে ছাড় ছিল না, বর্ষবরণের উত্সবেও কোভিড বিধি কড়াকড়ি করার কথা বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজও ফের বন্ধ। রাজধানীর দোকানপাট একদিন অন্তর খুলতে হবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্পষ্ট নির্দেশ দেন, বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোনও সামাজিক জমায়েত করা যাবে না। বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।কেজরি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিল্লিতে ৩৩১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৯ জুনের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। পজিটিভিটি হার বেড়ে হয়েছে ০.৬৮ শতাংশ। রবিবার পজিটিভিটি হার ছিল ০.৫৫ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্ত ছিল ২৯০ জন।
কেজরিওয়ালের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে। দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৬৫, মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ১৬৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এদিন সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৬৫৩।