দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলানো যায়নি। এরই মধ্যে ভয় দেখাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টাপ্লাস। তবে স্বস্তির খবর একটাই, ডেল্টার সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে দেশের মধ্যে কিছু পকেট এলাকাতেই ছড়িয়েছে। আইসিএমআর ডেল্টা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কোভিড টিকা ডেল্টার বিরুদ্ধে কতটা যুদ্ধ করতে পারবে তা এই গবেষণার রিপোর্টে জানা যাবে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১। দ্রুতগতিতে ৪৮ হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। মহারাষ্ট্র, কেরল ও মধ্যপ্রদেশে করোনার এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ শুধু এই তিন রাজ্যেই নয়, দেশের আরও ১২টি রাজ্যে মিলেছে ডেল্টাপ্লাসের অস্তিত্ব৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিকভাবে ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলতে শুরু করেছে৷ গত মঙ্গলবার শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ২১ জনের শরীরে মিলেছে ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ৷ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে চলতি ভ্যাকসিনগুলি সবকটাই সমান কার্যকারী কিনা তা জানতে আইসিএমআর-এর ল্যাবরেটরিতে গবেষণা শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন ডেল্টা প্লাসে দেশে দ্বিতীয় মৃত্যু মহারাষ্ট্রে
দিল্লি আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর ডাক্তার বলরাম ভার্গবের বক্তব্য, ‘খুব শীঘ্রই ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে একটি পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হাতে৷’ মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, আক্রান্তরা দেশের বাইরে কোথাও গিয়েছিল কিনা, বা প্রত্যেকে ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা এই বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউয়ের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে এই ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্ট৷
আরও পড়ুন অগস্টে ইউরোপ জুড়ে চিন্তা বাড়াবে ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’
ব্রিটেনে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হতে শুরু করেছে বহু মানুষ৷ ভারতে ডেল্টাপ্লাস দ্রুত হারে ছড়ানোর আগেই সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতেই ফের ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্টেরের হাত ধরে তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন করে পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে৷ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত দেশে যে পদ্ধতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়েছে তা ডেল্টাপ্লাস ভ্যারিয়েন্টার জন্য ততটা কার্যকর নয়৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রামিত ৩ কোটিও বেশি৷ দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ দ্রুত গতিতে ছড়ালে এই সংখ্যাটা দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের৷