মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন সিপিআই (এম এল) লিবারেশনের। মূলত চার দফা দাবিতে এদিন প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে করোনার কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে সেখানে বিভিন্ন জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে লাগাতারভাবে। তাঁরই প্রতিবাদে এদিন পথে নেমেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে টিকা, বাড়ছে দাম
পেট্রোল, ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম, কোভিড অতিমারি চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জামের উপর জিএসটি আরোপ, সেইলের আরএম ডিভিশন সরিয়ে নেওয়া এই চারটি বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এদিনের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, বিগত কয়েক মাসের মধ্যে কেন্দ্রে মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার পেট্রোলে ২৫০ শতাংশ এবং ডিজেলে ৭৯৪ শতাংশ শুল্ক ও কর বৃদ্ধি করেছে। সাধারণত, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে তখন এই দাম বাড়ে। অথচ বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম। এই অত্যধিক কর চাপানোর ফলে শুধু পেট্রোল, ডিজেলের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে তাই নয়, সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরও লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ নজরমিনার খোলার আবেদন পর্যটন মন্ত্রীর কাছে
দেশে বর্তমানে কোভিড অতিমারি ও লকডাউন বা তথাকথিত বিধিনিষেধের ফলে জনজীবন বিপন্ন। কর্মহীন ও কর্মচ্যূত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সময় এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি জনগণের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তাঁদের দাবি, কেবলমাত্র রেশনে ৫ কেজি চাল বা গম দিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবনকে সহজ ও স্বাভাবিক করা যাবে না। তাই সিপিআই (এম এল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, রেশনে অন্তত ১০ কেজি চাল, গমের সঙ্গে ডাল, ভোজ্যতেল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে হবে। আধার কার্ড, রেশন কার্ডকে অজুহাত করে কাউকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাদের আরও অভিযোগ, অতিমারি নিয়ন্ত্রনে চরম ব্যর্থ কেন্দ্রের সরকার। তাঁরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণে উদ্যোগ নেওয়ার পরিবর্তে অতিমারিতে ব্যবহৃত ওষুধ, অক্সিজেন ও অন্যান্য সরঞ্জামের উপর জিএসটি বসিয়েছে। এটাও এদিন অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান তাঁরা।