বেজিং: কোভিড লকডাউনে (Covid China) ঘরবন্দি ৩০ লক্ষ। ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ সংক্রমণ। অতিমারির তিন বছরে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি চীনকে। এ কথা মানছে বেজিং-ও। করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের শুরু (Fourth wave of Covid-19) চীন থেকেই হল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উহানের শিক্ষা নিয়ে সতর্ক চীন। বাকি বিশ্বেরও নির্লিপ্ত থাকার উপায় নেই, ভারতেরও নয়। চীনে চতুর্থ ঢেউ ভারতের জন্যও অশনিসংকেত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে মহামারী বিশেষজ্ঞদের অনেকেই দাবি করেছিলেন, কোভিড আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাসের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু চীনে করোনার নতুন করে বাড়বাড়ন্তে (Covid lockdown) স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ছে।
বেজিংয়ের রিপোর্ট, মঙ্গলবার গোটা দেশে ৫,২৮০টি কোভিড পজিটিভ কেস (Covid-19 in China) ধরা পড়ে। তার আগের দিনের হিসেবে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে সংক্রমণ। যদিও বেজিংয়ের জন্য স্বস্তির, চীনের রাজধানী শহরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বুধবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ দ্বিগুণ বেড়েছে। ওমিক্রনেরই নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine war: বাইডেনকে রাশিয়ার ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেনকে সরকারি আর্থিক সাহায্য আমেরিকার
সংক্রমণ সবথেকে বেশি উত্তরপূর্ব চিনের (Covid China) জিলিন প্রদেশে। ২৪ ঘণ্টায় শুধু এই প্রদেশেই কোভিড আক্রান্ত ২,৬০১ জন। বেজিং, সাংহাই, শেনঝেনের মতো শহরগুলিতেও কোভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়ছে। চীন প্রশাসন ইতিমধ্যে বন্দর অঞ্চলগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তুঙ্গ মুহূর্তেও চীনে সে ভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি করোনাভাইরাস। চীনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল। এ বারও সেই একই কৌশল নিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে চীন প্রশাসন।