কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা ২০২১ সালে ভারতে ৪২ লক্ষেরও বেশি মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এক গাণিতিক মডেলে বলা হয়েছে, এই প্রতিষেধক সাড়া পৃথিবীতে ২ কোটি মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছে। গবেষকরা ১৮৫টি দেশের মৃত্যুর হার সম্পর্কে বিস্তারিত সমীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে আরও তৎপর হলে অন্তত ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩০০ জনের প্রাণ বেঁচে যেত। গবেষকদের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু প্রতি দেশের মোট জন সংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশকে যদি প্রতিষেধকের আওতায় আনতে পারত, তাহলে করোনা পর্বে গোটা পৃথিবীতেই মৃত্যু অনেক কম হতো।
এই গবেষণাটি চালানো হয়েছিল ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বরের সময়কালের মধ্যে। এই এক বছরের মধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে করোনার প্রতিষেধক টিকা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। ওই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষক অলিভার ওয়াটসন বলেন, ওই এক বছর সময়কালে ভারতে ৪২ লক্ষ্য ১০ হাজার মৃত্যু এড়ানো হয়ে গিয়েছে। প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার ফলে। তাঁর মতে ভারতে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে জোরদার সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল, তার জন্যেই দেশের বহু মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে প্রতিষেধক নিতে এগিয়ে এসেছেন। ওয়াটসন বলেন, বিশ্বে ভারতই হল প্রথম দেশ যেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। একইসঙ্গে টিকা নেওয়ার কারণে তা মারাত্বক ক্ষতি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন PF Seminar: প্রভিডেন্ট ফান্ড কারও দয়ার দান নয় : দোলা সেন
ওয়াটসনদের ওই গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ কোভিডে অন্তত একটি ডোজের টিকা নিয়েছে। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ মানুষ একটি ডোজের টিকা পেয়ে গিয়েছেন। গবেষণাপত্রের দাবি, টিকা দেওয়ার পরিমাণ আরও বাড়ালে মৃত্যু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
আরও পড়ুন Maharashtra Political Crisis: ঘন ঘন বদলাচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটচিত্র