বাঁকুড়া : ২.৩৩ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে বাঁকুড়া আদালতের কেরানির বিরুদ্ধে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কর্মীকে। ধৃতের নাম প্রীতম ভকত।
পুজোর মুখে বাঁকুড়া জেলা আদালতের কর্মীদের বোনাসের নথিপত্র তৈরীর সময় আচমকাই নজরে আসে। অভিযোগ করা হয় বেশ কিছু ভুয়ো আকাউন্টে মাসের পর মাস মাইনের টাকা জমা হচ্ছে। এরপর বাঁকুড়া জেলা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ময়ুখ মুখার্জী বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বেঞ্চ ওয়ান ক্লার্ক প্রিতম ভকত আদালতের একাধিক কর্মীর নামের বানান বিকৃতি ঘটিয়ে তাঁদের পৃথক কর্মী হিসাবে দেখিয়ে মাসের পর মাস মাইনে আত্মসাৎ করে গেছে।
আরও পড়ুন – দুধের বালতিতে গয়না! পাচারের আগেই বিএসএফের জালে
এই একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে একাধিক বিচারপতির নাম করেও। পুলিশের দাবি, গতবছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৩ মাসের মাইনের টাকা তোলা হয়েছে ওই ভুয়ো কর্মী ও বিচারকদের নামে। এই পদ্ধতিতে দুর্নীতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ এই টাকা আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে প্রিতমকে সহায়তা করেছিল তার বন্ধু অভিক মিত্র। তদন্তকারীদের দাবি নামের বানানে বিকৃতি ঘটিয়ে ভুয়ো কর্মী তৈরী করে তাদের মাস মাইনের টাকা সরাসরি অভিক মিত্রর ব্যাঙ্ক আকাউন্টেই জমা করার ব্যবস্থা করেছিল অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন – পুজোর মুখেই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করে বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করেছে । এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত ২ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।