পানাজি: গোয়া (GOA) সফরের প্রথম দিনেই কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে দেশের নজরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ শনিবার (Saturday) সফরের দ্বিতীয় দিন৷ শুক্রবারের মতো একের পর এক কর্মসূচি না থাকলেও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি আছে তাঁর৷ তাই, শুক্রবারের মতোই গোয়ার খবরে নজর থাকবে রাজনীতিকদের৷ তাতে আবার শনিবারই বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের (By Election) ভোট গ্রহণ৷ গোয়া থেকেই ভোট গ্রহণের খবরে নজর থাকবে তৃণমূল সু্প্রিমোর৷ সূত্রের দাবি, এ কারণে শনিবার একাধিক কর্মসূচি রাখা হয়নি৷
মূলত, শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় গোয়ার ডোনা পাওলা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘণ্টা দেড়েকের কর্মসূচি সেরে ক্যাথলিক চার্চ বাসিলিকা অব বোম জেসাসে (Basilica of Bom Jesus) যাবেন৷ সেখানে আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থনা সেরে ফের দুপুর বারোটা নাগাদ মাফুসায় উপস্থিত হবেন৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তৃণমূল সূত্রের দাবি, ‘মাফুসার মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি শাসনে তাঁরা কতটা অবহেলিত, সরকারি পরিষেবা পেতে কী কী সমস্যীর সম্মুখীন হতে হয় সে সব শুনবেন৷ শুক্রবারে মতো সাধারণের সুবিধার্তে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেবেন৷’
মৎসজীবীদের সঙ্গে তাঁদের জন্য চার দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ প্রতি প্রত্যেকের জন্য ৪০০০ করে মাসিক ভাতার ঘোষণা করেছেন৷ সর্বোপরি মৎসজীবীদের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প চালুর কথা বলেছেন৷ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মমতা স্পষ্ট করে বলেন, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের গড়িমসি কোনওভাবেই সহ্য করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা কংগ্রেস সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ওরা ৭ বছর ধরে হারছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে জিতছি।
আরও পড়ুন: গো ধরে বসে থাকলে চলবে না, নিজের ওজন বুঝে চলতে হবে কংগ্রেসকে
উত্তরবঙ্গ সফর থেকেও কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস অনেক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে ব্যর্থ।’ জাতীয় স্তরে মোদি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলা ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ায় সংগঠন গড়ে তুলছে জোড়াফুল শিবির।
অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সুস্মিতা দেব থেকে শুরু করে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও- কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের দলে নিয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসের কর্মীরাও তৃণমূলে ভিড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও কিছুটা অসন্তুষ্ট কংগ্রেস শিবির। ফলে যত দিন যাচ্ছে দু’দলের ঠান্ডা লড়াই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে কী করে হারাতে হয় দেখিয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেসকে আক্রমণ ‘জাগোবাংলা’য়
২০১৭ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ১৭টি আসন পেয়েছিল তারা। বিজেপি ১৩টি আসন পেয়েছিল। পরে কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির ২৭, কংগ্রেসের ৫ বিধায়ক। এই বিষয়টি নিয়েও মমতা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দলীয় মুখপত্র জাগোবাংলাতেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তৃণমূল। লেখা হয়, ‘আমাদের নেত্রী বলেছিলেন জোটের কাঠামো হোক, স্টিয়ারিং কমিটি হোক, নীতি বা কর্মসূচির লাইন তৈরি হোক। কোথায় কী! কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ। ২০১৪, ২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস ডুবেছে এবং ডুবিয়েছে। আমরা কি আবার ওদের জন্য বসে থাকব?’
আরও পড়ুন: প্রায় দু’বছর পর খুলছে স্কুল, ১৬ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে ৬ দিনই ক্লাস