কলকাতা: আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে কলকাতা পুরভোটের (KMC Polls 2021) মামলা খারিজ করে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court)৷ একই সঙ্গে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও রকমের গোলমাল বা হিংসা এড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা যেতেই পারে৷ তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ কোথাও কোনো হিংসা বা গোলমাল মোকাবিলায় যদি কেন্দ্র বাহিনীর প্রয়োজন হয়, তবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনকে৷ আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছিলেন যে, রাজ্য যদি চাই তাহলে ছ’ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় মোতায়েন করতে তাঁরা প্রস্তুত৷ অর্থাৎ, কলকাতা পুরভোট অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ দায়ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এই মুহুর্তে এমন কোনও পরিস্তিতি তৈরি হয়নি যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে৷ এমন কোনও হিংসা বা সংঘর্ষের ঘটনার কথাও এই মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি৷ তাই, আদালত মনে করেছে কলকাতা পুরভোটে বিজেপির যে আবেদন অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করানোর যে দাবি তা গ্রাহ্য করার কোনও প্রয়োজন আছে৷
গত ১৩ ডিসেম্বর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিজেপির করা মামলা খারিজ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালত জানায়, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না সেটা সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। হাই কোর্টে আবেদন করতে বলে।
বিচারপতি এল নাগেসারা রাও এবং বিচারপতি বিআর গভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানায়, আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না, এই নিয়ে বলার যোগ্যতা কলকাতা হাইকোর্টের রয়েছে। বিজেপির হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী মনিন্দর সিং।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কলকাতা পুরভোটের নিরাপত্তায় থাকবে ৩০ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কোনও ভোটকেন্দ্রে সিভিক পুলিশ যে থাকবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।।এর পর ডিসেম্বরের শুরুতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয় পদ্মফুল শিবির।