বলিউডে দিলীপ কুমার ছিলেন ট্র্যাজেডি কিং। তিনিই ছিলেন বিমল রায়ের দেবদাস। দিলীপ সাবের মনে যেন লুকোনো ছিল অফুরন্ত ইমোশন। তাঁর সেই ইমোশন কোথায় যেন দর্শকের মনের সঙ্গে মিলেমিশে যেত। তাঁর দেবদাস তাই আজও কাঁদায়। প্রথম ছবি জোয়ারভাঁটায় দিলীপ সাব অবশ্য নায়ক ছিলেন না। নায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ‘জুগনু’ , ১৯৪৭ সালে এই ছবি মুক্তি পায়।। তারপর বলিউড জুড়ে কেবল দিলীপ ম্যাজিক। নয়া দওর, মধুমতী, ক্রান্তি, কর্মা, মুঘল- এ- আজম, মুসাফির, মশাল, সওদাগর- গোটা পাঁচের দশকজুড়ে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করেছেন দিলীপ সাব। ‘কর্মা’, ‘সওদাগর ‘ ছবির পরিচালক সুভাষ ঘাই আজ তাঁর প্রয়াণে স্মৃতিচারণা করে করলেন।
শুধু হিন্দি নয়, বাংলা ছবিতে অভিনয় করেও চমকে দিয়েছিলেন অভিনেতা। তপন সিনহার ছোটি সি পঞ্ছীতে তাঁর অভিনয় ভোলার নয়। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে দিলীপ কুমারের জুটি নজর কেড়েছিল সকলের। এক সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে খোদ রাজ কাপুরের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছেন তিনি। কেবল মাত্র অভিনয়ের ক্যারিশমায় মন কেড়েছেন দিলীপ সাব। তাঁর শেষ ছবি কিলা। আর শেষতম সুপারহিট ছবি সওদাগর।
দিলীপ কুমারের জীবনটাই ছিল সিনেমার মতো। ব্যবসায়ী হতে গিয়ে বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা হয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ সাব। প্রেম থেকে বিয়ে- কেরিয়ার থেকে তাঁর অর্ধেক বয়সী সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ দাম্পত্য। দিলীপ সাব ছিলেন রঙিন বলিউডের বসন্ত। তাঁর মৃত্যুতে এক যুগের অবসান হল। দিলীপ কুমারের অভিনয় শৈলী নিয়ে বলেছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
বুধবার সকালেই মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ সাব।গত জুন মাস থেকেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন দিলীপ কুমার।মাসের শুরুতেই হাসপাতালে ভর্তি হন।তবে সেবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন অভিনেতা।চলতি মাসের শুরুতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অগণিত ভক্তদের মন খারাপ করে চলে গেলেন বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং। মধুমতী,দেবদাস,নয়া দৌড়,মুঘল-এ-আজম,শক্তি,ক্রান্তি,সওদাগর-এর মতো বক্সঅফিসে সাফল্য পেয়েছিল। অসংখ্য ছবিতে দিলীপ কুমারের অনবদ্য অভিনয় কোনওদিনই ভোলার নয়।কিংবদন্তী অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা দেশের চলচ্চিত্র জগতে। অভিনেতা সুব্রত দত্ত জানান শ্রদ্ধাঞ্জলী।