কৃষ্ণনগর: গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ফিল্মি কায়দায় এক সোনা পাচারকারীকে আটক করল বিএসএফ৷ ধৃতের থেকে ১৫টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে৷ রবিবার নদীয়া জেলার মুরুটিয়া থানার সীমান্ত এলাকার ঘটনা৷ ধৃতকে মুরুটিয়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত সোনা তেহট্ট কাস্টমস অফিসে জমা করা হয়েছে৷ ধৃত পাচারকারী ভারতীয় বলে জানিয়েছে বিএসএফ৷
বিএসএফ সূত্রের দাবি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৮৪ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফিল্মি কায়দায় ১৫ টি সোনার বিস্কুট সহ একজন ভারতীয় চোরাচালানকারীকে আটক করেছে। সোনার বিস্কুটের মোট ওজন ১ কেজি ৭৪৯.১৮ গ্রাম। বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ ৩ হাজার ২৯ টাকা।
এদিন খাঞ্জিপুর সীমান্ত চৌকির জওয়নারা কানাইকুলি বাস স্টপে টহল দিচ্ছিল৷ গোপন খবরের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট বাস থামিয়ে খাঞ্জিপুরের জওয়ানরা কানাইকুলি বাসস্টপ একটি বাসকে দাঁড় করায়৷ বেশ কয়েকজনকে তল্লাশি চালানোর পর আসল পাচারকারীকে ধরে ফেলে৷ তার থেকে বিপুল সংখ্যক সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়৷
আরও পড়ুন- WB Corona: সুস্থ হচ্ছে বাংলা, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৫১২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানায় তার নাম হানিফ মন্ডল৷ বাড়ি মুরুটুয়া থানার মসজিদ পাড়া এলাকায়৷ সে করিমপুর থানা নন্দনপুরের মনন মন্ডলের থেকে বিস্কুট গুলি নিয়েছিল৷ সেগুলিকে কলকাতার ধর্মতলার নিউ মার্কেটের সুরজিত হালদারকে দিতে আসছিল৷ কিন্তু শেশ রক্ষে হল না৷ তার আগেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে সে৷
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ জনসংযোগ আধিকারিক জওয়ানদের উৎসাহিত করেন৷ সীমান্তে পুরোপুরি চোরাচালান বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। তবে, স্থানীয় পুলিস ও জওয়ানদের বোঝাপড়ার মধ্যদিয়েই এলাকায় চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন৷