২০০ আসনকে টার্গেট করে বাংলার ভোট প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে গেরুয়া শিবির। তবে ২০০ তো দূর, ৭৭-এই দৌড় শেষ হয়েছে বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটরা রাজ্যজুড়ে প্রচার চালালেও তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: সফরসূচি বদলে ‘শাহি’ দরবারে রাজ্যপাল
ভোটের ফল বেরোনোর পর একাধিক আসনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল শিবিরের আরও চার পরাজিত প্রার্থীও কোর্টে মামলা করেছেন। তৃণমূলের পালটা এবার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। অন্তত ৫০ আসনে পুনর্গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে গেরুয়া শিবির।
শনিবার বহরমপুরে চা-চক্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যে সমস্ত আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে, সেই সমস্ত আসনে পুনর্গণনার জন্য আমরা আদালতে যাচ্ছি। কোথায় কীভাবে পিটিশন তা নিয়ে আইনজীবীরা আলোচনা করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দলের তরফে আবেদন জানানো হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের ৩৬ আসনে বিজেপি প্রার্থীরা হাজারের কম ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে ‘না’
রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি, গণনার সময় বেশকিছু আসনে কারচুপি করে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকেই অভিযোগ এসেছে, দলের কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপরই সেখানে অবাধে কারচুপি করা হয়। ফলাফল পর্যালোচনার সময় আরও কিছু অস্বাভাবিক বিষয় উঠে এসেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, যেসব আসনে তারা দু’হাজারের কম ভোটে হেরেছে, সেইসব আসনে পুনর্গণনা দাবি জানানো হবে।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ৫০ আসনে আমরা দ্বিতীয় স্থানে। বহু আসনে আমাদের প্রার্থীরা খুবই কম মার্জিনে পরাজিত হয়েছেন। অনেক জায়গায় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের ভয়ে গণনাকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বিজেপির এজেন্টরা। যায় চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। গণনা কেন্দ্রে কারচুপি ও গণ্ডগোলের অভিযোগে কয়েকটি কেন্দ্রে পুনর্গণনা চেয়ে কোর্টে আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: জেলাপরিষদের বিজেপির ৪ সদস্য তৃণমূলে
উল্লেখ্য, মমতা ছাড়াও হাইকোর্টে মামলা করেছেন বলরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী আলোরানী সরকার, হুগলির গোঘাটের প্রার্থী মানস মজুমদার ও পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার প্রার্থী সংগ্রামকুমার দলুই।