সোমবার থেকে জনসাধারণের জন্য দিল্লিতে খুলে যাচ্ছে বার, পার্ক, বিনোদনমূলক উদ্যান, গল্ফ ক্লাব। খোলা জায়গায় করা যাবে যোগব্যায়ামও। রেস্তোরাঁর সময় আরও দু’ঘণ্টা বাড়ছে। জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আনলকিং প্রক্রিয়ায় এভাবেই একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে রাজধানী। বারগুলি দুপুর বারোটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ৫০ শতাংশ গ্রাহকই একসঙ্গে বসতে পারবেন জানাল দিল্লি সরকার। রেস্তোরাঁগুলি সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় থেকে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকতো রেস্তোরাঁ। এই নতুন আনলকিং শুরু হলো ঠিক তখন, যখন ডাক্তাররা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দ্রুত আনলক প্রক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করছেন।
দিল্লি এইমসের প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া ও কোভিড টাস্কফোর্স সদস্যরা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসবেই। সেটাও খুব শিগগিরি। হয়ত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ।’ এরমধ্যে যদি আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়, তাহলে কোভিডবিধি মেনে চলায় বিঘ্ন আসতে পারে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমরা কিছুই শিক্ষা নিইনি। আবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে, লোকজন এক জায়গায় জড় হচ্ছে।’ বলেন ডক্টর গুলেরিয়া।
গত এপ্রিল-মে মাসে কোভিডে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম দিল্লি। কোভিড শয্যার অভাব, ওষুধের অভাব, অক্সিজেনের অভাব, তার থেকে মৃত্যু, এই সবকিছু নিয়ে বারবার শিরোনামে এসেছে রাজধানী। চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরে মৃত্যু হয়েছে বহু আক্রান্তর। হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাড়িতেই মারা গেছেন বহ মানুষ। এমনকী মৃতদেহ দাহ করার জন্য পরিজনদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কার্যত ভেঙে পড়েছিল দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সেখানে আনলকিংয়ে কিছুটা তাড়াহুড়ো করছেন না তো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।