প্রদর্শনী ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংকে ২-১ গোলে হারিয়ে নতুন মরসুম শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বিরতির সময় মোহনবাগান ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। মহমেডানের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন অভিষেক হালদার। বিরতির পর মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোলই করেন জনি কাউকো। প্রথমটি পেনাল্টি থেকে। পরেরটি অবশ্য মুভমেন্ট থেকে। মোহনবাগান কোচ তাঁর চার বিদেশিকে দুই অর্দ্ধে ব্যবহার করেন। প্রথমার্দ্ধে খেলেন হুগো বুমো এবং ফ্লিওরিন্তিন পোগবা। বিরতির পর নামানো হয় জনি কাউকো এবং কার্ল ম্যাকহিউকে। এবং জনি কাউকোর জোড়া গোলে উতরে যায় মোহনবাগান। মহমেডান আই লিগের রানার্স হয়েছে গত বছর। আর মোহনবাগান আই এস এল-এর তৃতীয় দল ছিল গত বছরের। এ বছর দুটো দলই নতুন করে সাজিয়েছে। কিন্তু আই লিগের টিমের সঙ্গে তো আই এস এল-এর পার্থক্য থাকবেই। ম্যাচের ফলের মধ্যে সেটা প্রকাশিত। তবে মহমেডান প্রায় দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্র্যাক্টিস করছে। আর মোহনবাগানের প্র্যাক্টিস শুরু হয়েছে মাত্র ছয় দিন হল। মহমেডানের রাশিয়ান কোচ চেরনিশভ সবে এসেছেন কলকাতায়। আর প্রথম দিন থেকেই জুয়ান ফেরান্দো প্র্যাক্টিস করাচ্ছেন।
প্রদর্শনী ম্যাচ হলেও মিনি ডার্বি দেখতে উপচে পড়েছিল নৈহাটি স্টেডিয়াম। দর্শকদের মধ্যে ছিলেন তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিক। তবে নতুন স্টেডিয়ামে দশ হাজার দর্শক ধরলেও পুলিশ সাত হাজারের বেশি দর্শক ঢোকার অনুমতি দেয়নি। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ম্যাচ আরম্ভ হওয়ার কথা হলেও তার অনেক আগেই স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে যায়। মোহনবাগান জনতার সবচেয়ে আগ্রহ ছিল পল পোগবার দাদা ফ্লিওরিন্তিন পোগবাকে নিয়ে। সেন্টার ব্যাক ফ্লিরিওন্তিন অবশ্য দর্শকদের মন ভরিয়েছেন। তাদের মতে পোগবার দাদা দাঁড়িয়ে যাবেন। বিরতিতে এক গোলে পিছিয়ে থাকা মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো শেষ ৪৫ মিনিটের জন্য পুরো দলটাকেই বদলে ফেলেন। এবং এতে কাজ হয়। বিশেষ করে সামনের দিকে জনি কাউকো বেশ ভাল খেলেন। দুটি গোলই ফিনল্যান্ডের জাতীয় দলের তারকার। প্রথমটি পেনাল্টি থেকে করলেও পরেরটি অবশ্য মুভমেন্ট থেকে। ২০ আগস্ট ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচ মোহনবাগানের। তাদের সামনে সেদিন রাজস্থান ইউনাইটেড। মহমেডানকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচের আগে মোহনবাগান প্রয়োজনীয় মনোবল জোগাড় করে নিল।