এক ঢিলে দুই পাখী মারল এটিকে মোহনবাগান।
গত বছরের টিম থেকে দুই বিদেশি চলে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড উইলিয়ামস ছিলেন স্ট্রাইকার। তিনি চলে গেছেন মুম্বই সিটি এফ সি-তে। আবার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরি এ এফ সি কাপের প্রথম ম্যাচে এমন চোট পেয়েছেন যে দীর্ঘ নয় মাস তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এটিকে মোহনবাগানের দরকার ছিল একজন সেন্টার ব্যাক। আবার তিনি এশিয়ান হলে সুবিধে। কারণ এ এফ সি কাপে চার বিদেশির মধ্যে একজন এশিয়ান কোটার প্লেয়ার লাগবেই। এই ভাবনা থেকে দল গড়তে গিয়ে এটিকে মোহনবাগান কর্তারা সই করালেন অস্ট্রেলীয় সেন্টার ব্যাক ব্রেন্ডন হামিলকে। ২৯ বছর বয়সী ব্রেন্ডন অস্ট্রেলিয়ার এ লিগে মেলবোর্ন ভিক্ট্রি এফ সি-তে খেলেন। আপাতত এক বছরের চুক্তিতে তাঁকে সই করিয়েছে মোহনবাগান।
অজি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডনের বায়োডাটা বেশ ভাল। সিডনিতে জন্ম ব্রেন্ডনের। মাত্র উনিশ বছর বয়সে তিনি পেশাদারি ফুটবলে যোগ দেন। প্রথম ক্লাব মেলবোর্ন হার্ট এফ সি। সেটা ছিল ২০১০ সাল। দু বছর সেখানে খেলার পর তিনি যোগ দেন দক্ষিণ কোরিয়ার কে লিগে সিওগনাম এফ সি-তে। সেখানে মাত্র আটটি ম্যাচ খেলে চলে যান কোরিয়ারই অন্য ক্লাব গাংওয়ান এফ সি-তে। সেখানে বিশেষ নজর কাড়তে ব্যর্থ হওয়ায় ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ায়। ২০১৪ সালে সই করেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ানডারার্সে। পাঁচ বছর এই ক্লাবে খেলেন দাপটের সঙ্গে। ভাল পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে এই ক্লাবের অধিনায়কও করা হয়। এর পর তিনি চলে যান এ লিগেরই অন্য ক্লাব ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড এফ সি-তে। এর পর ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সের প্রাক্তন কোচ টনি পোপভিচের ডাকে সাড়া দিয়ে যোগ দেন মেলবোর্ন ভিকট্রি-তে। সেখান থেকে এবার আসছেন এটিকে মোহনবাগানে।
ব্রেন্ডন হামিলের যুক্তিতে মোহনবাগান ডিফেন্সের শক্তি বাড়ল কি না তা বোঝা যাবে সেপ্টেম্বরে এ এফ সি কাপের আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে। তবে একদিকে ডেভিড উইলিয়ামসের বদলে এশিয়ান প্লেয়ার এবং অন্য দিকে তিরির বদলী সেন্টার ব্যাক ব্রেন্ডন হামিলকে নিয়ে মোহনবাগান যে দুটো সমস্যা একটা প্লেয়ারে মেটাল তা বলাই যায়।