২০০ আসনকে টার্গেট করে ভোটযুদ্ধে নামলেও ৭৭ দৌড় থেমেছে গেরুয়া শিবিরের। রাজ্য জয় দূরস্ত, সংগঠন টিকিয়ে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের কাছে। প্রতিদিনই হাজার হাজার কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে এবার দল ছাড়তে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন
গঙ্গাপ্রসাদবাবু জানান, সোমবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে ৬ জন বিজেপি নেতাকে নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁর কথায়, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই বিজেপি ছাড়তে চাই। আগামীকালই তৃণমূলে যোগ দেব। আরও অনেকেই দেবে। শীঘ্রই ডুয়ার্সে বিজেপিতে ধস নামবে।
সূত্রের খবর, গঙ্গাপ্রসাদবাবু ছাড়াও বিনোদ মিঞ্জ, বীরেন্দ্র বরা, বিপ্লব সরকার-সহ জেলার একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে সবকটি আসন পেয়েছে বিজেপি। জেলায় খাতায় খুলতে পারেনি তৃণমূল। এবার গঙ্গাপ্রসাদবাবুর হাত ধরে জেলায় শক্তি বাড়াতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন: বঙ্গে সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই পেট্রোল, মুখে কুলুপ মোদী-শাহ’র
এদিকে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও ধস নেমেছে গেরুয়া শিবিরে। শনিবারই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি নেতা তপন সিনহা। মুকুল রায় যেদিন তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। গোবরডাঙা পুরসভার প্রশাসক সুভাষ দত্ত তাঁকে দলে স্বাগত জানান।
মুকুল রায়ের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের দিনই একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, বিগত কয়েকদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমি জানতেও পারছিলাম না বা আমাকে জানানো হচ্ছিল না। একইসঙ্গে শারীরিকভাবেও আমি আর পেরে উঠছি না। তাই দায়িত্ব ছাড়ছি। তারপর থেকে তাঁকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ৮১ দিন পর দৈনিক আক্রান্ত ৬০ হাজারের নীচে
তপনবাবুর পাশাপাশি শনিবার গোবরডাঙা শহরের বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্মিষ্ঠা বালা রায়ও তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ জেলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। তারপরেও দলে ভাঙন ধরায় চিন্তিত গেরুয়া শিবির। তপন সিনহার দলবদল নিয়ে মুখে কিছু না বললেও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তারা।