করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে যারা উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য সুখবর। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মাসখানেকের মধ্যে অসম রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হতে পারে ২০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এদের মধ্যে ১৪টি বাঘিনি ও ৬টি পুরুষ বাঘ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট কবে, জানালেন মমতা
বন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে একযোগে এত বাঘ আনার ঘটনা এর আগে হয়নি। রাজ্যে বাঘের সংখ্যা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অসম থেকে বাঘগুলিকে এনেই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ রাজ্যের জঙ্গলের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রাথমিকভাবে তাদের আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হবে।
রাজ্যের পরিবেশের সঙ্গে কিছুটা মানিয়ে নেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবা হবে। উল্লেখ্য, এরাজ্যের জঙ্গলের সঙ্গে অসমের জঙ্গলের পরিবেশের খুব একটা হেরফের নেই। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, অসম ও বাংলার জঙ্গলের পার্থক্য খুবই কম। কেবলমাত্র ঘনত্বের পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণরেখায় বাড়ছে জলস্তর,উদ্বেগে বাসিন্দারা
বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘেদের একটি প্রজনন ক্ষেত্রও তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। জঙ্গলের কোর এলাকায় সেটি তৈরি করা হবে। জুন-জুলাই থেকেই বাঘেদের প্রজনন ঋতু শুরু হয়। সেকারণেই প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করেই অসম থেকে বাঘগুলি আনা হবে।
রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভিকে যাদব জানিয়েছেন, আলোচনা চলছে। সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলে একসঙ্গে কিছু বাঘ আনা হবে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। অসমে বাঘ বেশি থাকায় সে রাজ্যের সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টা চূড়ান্ত হয়ে গেলে অসম থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাঘ ও বাঘিনি বাংলায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: উইম্বলডন এবং টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম তুলে নিলেন নাদাল
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতি, হরিণ, বাইসন, লেপার্ড, গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুপাতে বাঘের সংখ্যা বাড়েনি। সূত্রের খবর, বাঘের সংখ্যা বাড়াতে পরবর্তীতে আরও কিছু অভয়ারণ্যের জন্য কিছু বাঘ আনা হতে পারে। তবে তার আগে দেখা হবে, বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে থাকাকালীন ২০টি বাঘ কতটা দ্রুত বাংলার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।