হলদিয়া: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল৷ শনিবার ধৃতদের হলদিয়া আদালতে তোলা হয়৷ সূত্রের খবর, গ্রেফতারের তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা রয়েছেন। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হলদিয়া সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠান হয়। সেখানে বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের দাবি, ধৃতরা ভোট পরবর্তী হিংসা নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনে জড়িত৷
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর। ২ রা মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর টানা কয়েকদিন জেলার একাধিক জায়গায় চলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চল বলে অভিযোগ। অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করা হয়৷
আরও পড়ুন-পুলিশ সেজে ব্যাঙ্কের সামনে থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠ
হিংসার ঘটনায় শিরোনামে আসে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দামারী, চিল্লগ্রাম, মহম্মদপুর,গোকুলনগর সহ একাধিক এলাকা। এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে দেবব্রত মাইতি (৪৯) খুন হন। চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ করে ব্যাপক হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, সাধারণ বিজেপি কর্মী-সমর্থককে ব্যাপক মারধর করা হয়৷ জখমদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তমলুক জেলা হাসপাতাল৷ সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম-এ পাঠানো হয়। গত ১৩ মে দেবব্রত মাইতির মৃত্যু হয়। এরপর মে মাসেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকার সহ দেবব্রতর বাড়িতেও যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷
আরও পড়ুন-তোলাবাজির মামলায় প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে হাজিরার নোটিস
পরে সন্ত্রাস,খুন-ধর্ষণের তদন্তভার পায় সিবিআই। গত ৩১ অগস্ট থেকে লাগাতার নন্দীগ্রামে দেবব্রত খুনে তদন্ত করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার সন্দেহেভাজন ১১ জনকে হলদিয়া সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়৷