ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, সাগর ব্রিজ এবং সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যানের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্নে বুধবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের রূপায়ণে অর্থ কোথা থেকে আসবে কিভাবে রাজ্য সরকার তা জোগাড় করবে তা নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরো বিষয়টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। এই বিষয়ে বিভিন্ন চেম্বারদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
যশ, আমফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নদীবাঁধ রক্ষা করার জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছরই ঝড় আসে এবং প্রতি বছরই নদী বাঁধ তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। তার ওপর কি করে লাগাম টানা যায় তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়। নবান্ন থেকে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই দিনের বৈঠকে পাকা বাঁধের ওপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন যে এলাকায় পাকা বাঁধ রয়েছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম হয়েছে। তাই এদিনের বৈঠকে পাকা বাঁধ নির্মাণের ওপরেই জোর দেন তিনি। ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন সুন্দরবনে ৫ কোটি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫ কোটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগাতে হবে। এর জন্য একটা এক্সপার্ট কমিটি তৈরি করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মন্দারমনি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি সমুদ্রের ওপর অত্যাচার করবেন সমুদ্র আপনাকে ছেড়ে দেবে না।’ হোটেল গুলোকে কতটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সমুদ্র থেকে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথাও বললেন তিনি। দরকার পড়লে হকারদের ট্রলি দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্য সরকার আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও এক দফায় বিভিন্ন বণিক সভা সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে নবান্ন সংলগ্ন সভাঘরে প্রস্তাবিত এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বণিকসভার রাজ্য ও জেলাস্তরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সচিব মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।