Placeholder canvas
কলকাতা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
সোমবার নারদা মামলার সওয়াল জবাবে সিংভি
পিযূষকান্তি নাগ Published By:  | Edited By: কাকলি গোস্বামী
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১, ০৬:১৮:০২ পিএম
  • / ৩২৮ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • | Edited By: কাকলি গোস্বামী

বেশ কয়েকদিন ধরে নারদা মামলা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি উত্তাল দেশও। সোমবার ছিল সেই নারদা মামলার শুনানি। হাইকোর্টের আদালতের সওয়াল জবাব এখানে তুলে দেওয়া হল…

গ্রেফতারের আগে কেন সিবিআই নোটিশ দেয়নি?  নারদ-মামলায় প্রশ্ন সিংভির

“সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৫০ বছর রাজনীতি করছেন। তিনি মন্ত্রীও দীর্ঘদিনের৷ ফিরহাদ হাকিমও দীর্ঘদিনের মন্ত্রী৷ ২০১৬ সালের এই নারদ-মামলা৷ আর এখন চার্জশিট পেশের সময় সিবিআইয়ের মনে হচ্ছে এরা প্রভাবশালী, নথি নষ্ট করতে পারেন। এখন সিবিআইয়ের মনে হচ্ছে এদের হেফাজতে নেওয়ার দরকার। এর অর্থ কী ?”

হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ- মামলা স্থানান্তরের শুনানিতে অংশ নিয়ে সোমবার এভাবেই সিবিআইকে কটাক্ষ করলেন অভিযুক্তদের কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি৷

সিংভি সওয়ালে ফৌজদারি আইনের ৪১ ধারার উল্লেখ করে বলেন, গ্রেফতারের আগে সিবিআই কোনও নোটিশও দেয়নি। এই কাজ কীভাবে সম্ভব?

কোর্ট বা সিবিআই দফতরের জমায়েত কোনও কাজে বাধা দেয়নি, হাইকোর্টে সিংভি

হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ- মামলা স্থানান্তরের শুনানিতে  সোমবার অভিযুক্তদের কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি’কে পর পর প্রশ্ন করলেন বিচারপতিরা৷

বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন- সলিসিটর জেনারেল কিন্তু চারজনের  জামিনের বিরোধিতা করেন নি। উনি Monocracy নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ধরনা, অবস্থান বিচারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷

[ প্রসঙ্গত, অভিধানে Monocracy-র অর্থ হিসাবে বলা হয়েছে, a form of government in which the ruler is an absolute dictator, not restricted by a constitution or laws or opposition etc.]

বিচারপতি সৌমেন সেনের প্রশ্ন – সিবিআই বলেছে কোর্ট চত্বরে বহু মানুষের সঙ্গে প্রভাবশালীদের উপস্থিতি নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়েছে, এমনই বলা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে৷ বলা হয়েছে, এ ধরনের কাজে সাধারন মানুষের অন্য রকম ধারণা হতে পারে। (সিংভিকে) এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন – এরা কোর্ট বা সিবিআই অফিসে থাকলেও কাউকেই কোনও কাজে বাধা দেয়নি৷

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন –  তাঁরা নির্দিষ্ট এজলাসে না থাকলেও, ওই আদালতের চত্বরেই ছিলেন৷

নারদ-মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মনু সিংভি

কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ- মামলা স্থানান্তরের শুনানিতে  সোমবার অভিযুক্তদের কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি সওয়ালে সিবিআইয়েরভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন৷

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  –  সলমন খান, নর্মদা মামলায় তো আদালতের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছিল। এতে কিন্তু আদালতের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং আদালত বলেছিল প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে।

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  – সমাজের এত গভীরে যাদের শিকড়, তাঁদের পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে ? সিবিআই কিসের ভিত্তিতে একথা বলছে?

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  – নারদ-মামলায় অভিযুক্তদের একজন ২০১১ সাল থেকে মন্ত্রী এবং ৫০ বছর ধরে বিধায়ক।  ঘটনার এতদিন পর লোপাট করার জন্য আর কোনও তথ্য-প্রমাণ অবশিষ্ট  থাকতে পারে? এতদিন পর অসহযোগিতা করার প্রশ্নই বা আসছে কোথা থেকে ? কয়েক বছর আগেই এই মামলার হেভিওয়েট অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ফৌজদারি আইনের ৪১এ ধারা অনুসারে সিবিআই তাঁদের ডেকে পাঠায় । তাঁরা প্রত্যেকেই হাজির হয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছেন এবং নিজেদের কণ্ঠস্বরের নমুনা দিয়েছেন৷ আর কোন ধরনের সহযোগিতা সিবিআই চাইছে ?

সিংভি এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের জামিন মামলার উল্লেখ করেন৷

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  – জামিনের আবেদন বিবেচনা করার ক্ষেত্রে ৬০০ বছরের পুরোনো একটা পদ্ধতি আছে।

মূলত ৩টি বিষয়ের কথা বিবেচনা করেন বিচারক বা বিচারপতিরা।

(১) পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ।

(২) অসহযোগিতা।

(৩) তথ্য প্রমাণ লোপাট।

সুপ্রিম কোর্ট  জামিন দেওয়ার সময় এই ৩ টি বিষয় খতিয়ে দেখেই তো চিদাম্বরম-কে জামিন দিয়েছেন৷

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন – আইন অনুযায়ী তদন্তকারী অফিসার উপযুক্ত কারণ না দেখানো পর্যন্ত গ্রেফতার করতেই পারে না৷

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন – ১৭ মে আইনমন্ত্রী নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন৷ আইনমন্ত্রী কি ওখানে রোজ যান ? আইনমন্ত্রী ওই নির্দিষ্ট এজলাসে থাকুন বা না’ই থাকুন, তিনি আদালত চত্বরে ছিলেন। আইনমন্ত্রী কি বিচারব্যবস্থাকে মানেননা ? তিনি আদালতে গিয়েছিলেন কেন ? মনে রাখতে হবে, এটা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ বা রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত বিক্ষোভ নয়। এটা সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত বিক্ষোভ।

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  — প্রভাবিত হওয়ার কোন উল্লেখ তো নিম্ন আদালতের বিচারক করেননি৷

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন –  এমন কোন উদাহরণ দেখাতে পারবেন, যেখানে সংশ্লিষ্ট বিচারক বলছেন, আমি প্রভাবিত হয়েছি! এমন কিছু তো আমাদের জানা নেই।

‘আদালত প্রভাবিত হয়, এমন কিছুই করেননি মুখ্যমন্ত্রী বা আইনমন্ত্রী’, সওয়াল সিংভির

“মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী গত ১৭ মে নিজাম প্যালেসে বা আদালতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের এর গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে । আদালতের উপর প্রভাব খাটানোর জন্য তাঁরা কিছুই করেননি৷ সিবিআই নির্দিষ্টভাবে বলতেও পারেনি কীভাবে প্রভাব খাটানো হয়েছিলো৷ এখন এই যুক্তি কেন আনা হচ্ছে?”

হাইকোর্টে নারদ- মামলা স্থানান্তরের শুনানিতে সোমবার চার হেভিওয়েট অভিযুক্তের তরফে কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি  সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এই প্রশ্ন তোলেন৷ এর পরেই সিংভির কাছে আদালত জানতে চায়,

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন (সিংভিকে)  – সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদে থাকা কেউ যদি তদন্ত বা বিচারপর্বের সময় উপস্থিত হন, তাহলে কি প্রভাব ফেলতে পারে? আপনি কি বলতে চাইছেন যে, নির্বাচিত সাংবিধানিক ব্যক্তিরা আদালতের বাইরে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালেও মানুষের উপলব্ধির যে তত্ত্ব সিবিআই দেখাচ্ছে, তা লঘু হয়ে যায়? মানুষের মনে কোনও ধরনের সন্দেহসৃষ্টির বিষয়টিও অযৌক্তিক হয়ে যায় ?

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  – মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর উপস্থিতি ছিল সিবিআইয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। আদালতের উপর প্রভাব খাটানোর জন্য নয়।

অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন  – এক্ষেত্রে জনগণের চাপের কথা বলা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে ৩টি বিষয় বিচার করতে হবে,

( ১)  প্রশাসনিকভাবে আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে সেদিন অসুবিধা হয়েছিলো কি না ?

২) আদালত পরিচালনা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিলো কি না ?

(৩) বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব তখন আদৌ লক্ষ্য করা গিয়েছে কি না ?

এদিন হাইকোর্টে গত ১৭ মে চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারির পর

শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য-সম্বলিত একটি হলফনামা পেশ করেন অ্যাডভোকেট -জেনারেল৷

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি  – নারদ- মামলায় রাজ্য সরকার সংযুক্ত নয়। আপনার হলফনামা আমরা রেকর্ডে রাখলাম, পরে দেখবো।

◾অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) – ১৭ মে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আমার কথা শোনা হয়েছিল৷  সেটাই এখানে লিখিতভাবে বলা হয়েছে৷  তাহলে কেন এই হলফনামা  গ্রহনযোগ্য হবে না?

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি –  গ্রহনযোগ্য হবেনা সে কথা বলা হয়নি। At this stage এই হলফনামার প্রয়োজন নেই সেটাই বলেছি। পরে অবশ্যই দেখবো।

সোমবারের শুনানি শেষ, মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে৷

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩
১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০
২১ ২২ ২৩ ২৪২৫ ২৬ ২৭
২৮ ২৯ ৩০  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

উন্নতির যোগ আছে এইসব রাশির জাতকের
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
অভিষেকের সভা থেকে ফিরে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত প্রাক্তন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর উৎকর্ষ কেন্দ্র চালু আইইএম-এর
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
রাজারামের নজরে ছিল ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রিজও, দাবি পুলিশের
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
জন্মদিনে স্মৃতিচারণায় ‘শচীন’
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় অজ্ঞান হয়ে গেলেন নীতিন গড়করি
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
দু’ দেশের পতাকা হাতে ভারত-পাক মৈত্রীর বার্তা দিলেন পাকিস্তানি অ্যাথলিট
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
বিজেপির ১০ শীর্ষ নেতা তৃণমূলে আসার অপেক্ষায়, দাবি অভিষেকের
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
দ্বিতীয় দফার আগেই রাজ্যে আরও ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিলেন দিলীপ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
বিশ্বকাপের দলে হার্দিককে রাখলেন না বীরু
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
কেষ্ট মাটির ছেলে, আউশগ্রামের সভায় সার্টিফিকেট মমতার
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েও বিতর্কে জড়ালেন অধীর
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
দেবাংশুকে ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
অন এয়ার নোংরা শব্দ বলে বসলেন সাংবাদিক!
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team