দিল্লিতে সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে সব দোকানপাট, রেস্তোরাঁ। খুলছে সাপ্তাহিক বাজারগুলিও। তবে ৫০ শতাংশ বিক্রেতা নিয়েই চালাতে হবে বাজার। সেইসঙ্গে একটি পুর এলাকায় প্রতিদিন একটি বাজারই খোলা থাকবে। দেশের রাজধানীতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত কেজরিওয়াল সরকারের। সপ্তাহে সাতদিনই খোলা থাকবে দোকানপাট। এর আগে অড-ইভন নিয়মে খোলা হচ্ছিল দোকান। এখন থেকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সবকটি দোকান। টেকঅ্যাওয়ে ও হোম ডেলিভারির পাশাপাশি রেস্তোরাঁগুলিতে গিয়েও এবার নৈশভোজ করা যাবে। কিন্তু শর্ত একটাই। একসঙ্গে ৫০ শতাংশ গ্রাহকই সেখানে নৈশভোজ সারতে পারবেন। তবে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আপাতত বন্ধই থাকছে। সুইমিং পুল, বিনোদনমূলক উদ্যান ও ওয়াটার পার্কগুলিও এখন খোলা হচ্ছে না। কোনওরকম জনসমাগমেও নেই অনুমতি। ধর্মীয় স্থানগুলি খুললেও, ভক্ত সমাগমের অনুমতি নেই। বললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি মিডিয়াকে বলেন, ‘যদি এভাবেই সংক্রমণ কমতে থাকে তাহলে আমাদের জীবনও ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। এই চরম বিপর্যয়ে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে।’
দিল্লি সরকারের তথ্য অনুযায়ী শনিবার ২৪ ঘন্টায় মাত্র ২১৩টি সংক্রমণের ঘটনা নথিভূক্ত হয়েছে। তিনমাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। মোট আক্রান্ত ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। মোট মৃত্যু ২৪ হাজার ৮০০ জন। কিছুদিন আগেও করোনার ওষুধ, শয্যা, অক্সিজেনের সঙ্কট ও তারজন্য মৃত্যুর কারণে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে রাজধানী। তাই এতটুকুও গাফিলতিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর সাফ কথা, এই আনলক প্রক্রিয়া একেবারেই পরীক্ষামূলক। সাতদিন দেখা হবে কোভিডের গতিপ্রকৃতি। যদি আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আমজনতার মুখ্যমন্ত্রী।