তিনবার বিশ্ব কাপ ফাইনালে উঠেও কখনও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তবে ১৯৮৮ সালে তারা এক বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই সাফল্যের ছোঁয়া পেতে আবার এবারের ইউরোতে হাজির হয়েছে মার্কো ফান বাস্তেনের দেশের ছেলেরা। রবিবার তারা আমস্টারডামের জোহান ক্রূয়েফ স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয় পেল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তবে নেদারল্যান্ডস যেভাবে শুরু করেছিল তাতে বোঝা যায়নি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত এভাবে শেষ হবে। প্রথম থেকে নিজেদের দর্শকদের সামনে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি।
দল গঠনে নেদারল্যান্ডসের বেশ সমস্যা ছিল। হাঁটুতে চোট পেয়ে টুর্নামেন্টের আগেই ছিটকে গেছেন অধিনায়ক ভার্জিল ফান ডেক। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামেননি রক্ষণের অন্যতম ভরসা ম্যাথাইস ডি লাইটও। জুভেন্তাস ডিফেন্ডার কুঁচকির চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনও ম্যাচে নামার জায়গায় নেই। নেদারল্যান্ডেসের কোচ ফ্রাঙ্ক দি বোর ডিলাইটকে পরের ম্যাচে ব্যবহার করতে চান। কারণ দলে অনেক সমস্যা আছে। এক নম্বর গোলকিপার ইয়াসপার সিলেসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন। তাই ৩৮ বছর বয়সী মার্তেন স্টেকেলেনবার্গের উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দি বোর-কে।
তবু শুরু থেকেই স্বদেশীয় দর্শকদের সামনে গোল করার জন্য মরিয়া হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেই লক্ষ্যে তারা সফল হয় ৫২ মিনিটে। গোল করেন জর্জিনো উইনায়ডাম। এর ছয় মিনিটের মধ্যেই ২-০ করেন ওয়াট ওয়েহস্ট। এই সময় মনে হচ্ছিল ইউক্রেন আর ম্যাচে ফিরতে পারবে না। কিন্তু কিংবদন্তি ফুটবলার আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর কোচিংয়ে থাকা ইউক্রেন দুর্দান্ত কাম ব্যাক করল ৭৫ মিনিটে। একটি গোল শোধ করলেন আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কে। চার মিনিট পরেই ২-২ করে ফেললেন রোমান ইয়ারেমাচুক। এর পর নেদারল্যান্ডস আবার মরিয়া হয় জেতার জন্য। এবং সেই লক্ষ্যে তারা সফল হয় যখন ৮৫ মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রাইস গোল করে ৩-২ করে ফেলেন।
সি গ্রূপের অন্য ম্যাচে রবিবার অস্ট্রিয়া ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে উত্তর ম্যাসিডোনিয়াকে।