রাজ্যপালের ‘স্বজনপোষণ’ নিয়ে তোপ দাগলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৬ জনকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে (ওএসডি) নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু পরে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, যে ৬ জন দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যপালের পরিচিত। কয়েকজন আবার তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। যার ফলে সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে বহু চর্চা হয়। এই বিষয়ে ধনকড়কে ‘অ্যাঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করে রবিবার একটি ট্যুইট করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেখানে তিনি লেখেন, অ্যাঙ্কেলজি, রাজভবনে যাঁদের ওএসডি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের পূর্ব পরিচয় জানানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কি ভাবে এই ৬ জনকে একত্রে এখানে নিয়োগ করা হল, সে বিষয়টা খোলসা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মহুয়া। পাশাপাশি তিনি ট্যুইটে এও লেখেন যে, দেশের উপ রাষ্ট্রপতির পদ জগদীপ ধনকরের জন্য অধরা রয়ে গেল। কিন্তু সোমবার এই ট্যুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি ট্যুইটে লেখেন, যে ৬ জন ওএসডি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা কেউ তাঁর ঘনিষ্ঠ নন। নির্বাচিতদের মধ্যে ৪ জন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা এবং তাঁদের কয়েকজন রাজ্যপালের সঙ্গে একই জাতিরও নন। ফলে মহুয়া মৈত্রের এই স্বজনপোষণের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা, তা তিনি এই ট্যুটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে একটি ট্যুইটে ধনকড় পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে নজর ঘোরাতে এখন এই ইস্যু নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের মানুষের জন্য তিনি তাঁর কাজ জারি রাখবেন।