যশের তাণ্ডবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের ছটি ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি। এই মহকুমায় ২৭৬ কিলোমিটার নদী বাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে ১৫৩ কিলোমিটার কংক্রিটের পাকা বাঁধ হয়েছে। ১৩০ কিলোমিটার মাটির কাঁচা বাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার নদী বাঁধ যশের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই গুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য গত মাসের ২৮ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই ২৪ পরগনা সফরের পর হিঙ্গলগঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকের পর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত ত্রাণ ও নদী বাঁধ সংস্কার করতে হবে। সেই মতো আজ শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে একটি বৈঠকের আবোজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, দফতরের সচিব, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, মহকুমাশাসক মৌসুমী মুখোপাধ্যায় আটটি বিধানসভার বিডিও ও বিধায়করা কনভেনার শেখ শাহাজান সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই বৈঠকে প্রশাসনিক ভাবে ঠিক করা হয় কোন কোন নদীর বাঁধ গুলোকে আগে ঠিক করা হবে এবং শক্ত পোক্ত করতে কি ধরনের ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী নদীবাঁধ পরিদর্শনে যান, মন্ত্রী জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে এরই মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সেখানে যেমন প্রশাসনিক আধিকারিকরা রয়েছেন তেমনি জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। সবাই তাঁদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চিন্তা ১১ জুন ভরা কোটাল তার আগেই নদী বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে। পাশাপাশি ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর সংকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীবাঁধ গুলোকে আরও বেশি চওড়া ও আধুনিক মানের করতে হবে আমরা সেই কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করেছি।’ শুক্রবার বিকেলে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে সঙ্গে নিয়ে সেচমন্ত্রী ইছামতি, রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ছোট কলাগাছিয়া সহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত নদীপথ পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন।