ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন এখন ভাল আছেন। তিনি এখনও কোপেনহেগেনের হাসপাতালে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানেই আছেন। সেখান থেকেই হোয়াটস্যাপ কলে কথা বলেছেন ডেনমার্কের ফুটবলারদের সঙ্গে। বলেছেন, “আমি ভাল আছি”
তবে গতকাল ফিনল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের ৪২ মিনিটে থ্রো করতে গিয়ে সাইড লাইনের ধারে যখন এরিকসন যখন পড়ে যান তখন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন তাঁর স্ত্রী সাব্রিনা জেনসেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন মাঠের মধ্যে। এবং তখন তাঁর মনে হচ্ছিল তাঁর স্বামী বুঝি মারাই গেছে। তখন তাঁকে সান্ত্বনা দেন গোলকিপার কাসপার স্কিমিশেল। বলেন, ” না, ক্রিস বেঁচে আছে। ওর নিঃশ্বাস পড়ছে।” আজ একথা বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কাসপারের বাবা কিংবদন্তী গোলকিপার পিটার স্কিমিশেল। এরিকসন দম্পতির দুই সন্তান। ছেলের কোলে মেয়ে, যে জন্মেছে গত ডিসেম্বরে। এখনও তাঁর নাম রাখা হয়নি।
এরিকসন মাঠের মধ্যে পড়ে গেলে তাঁর দিকে ছুটে আসেন পিটার স্কিমিশেল এবং অধিনায়ক সিমন কেয়র। সিমনই সিপিআর দিতে থাকেন। সিপিআর হল মুখ দিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো ও বুকে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করা। সিপিআর দেওয়ার পর চোখ মেলে তাকান এরিকসন। তখন বোঝা যায়, তিনি বেঁচে আছেন।
তবে ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী এরিকসনের অনেকগুলো টেস্ট করা হয়েছে, আরও বেশ কয়েকটা টেস্ট করা হবে। তাঁর আর জীবন সংশয় নেই। তবে আরও কয়েক দিন না গেলে বলা যাবে না এরিকসন আবার ফুটবল মাঠে ফিরতে পারবেন কি না। তবে এরিকসন বলেছেন, শনিবারের রাতের ঘটনা তাঁর কিছু মনে নেই। কীভাবে মাঠে পড়ে গেলেন এবং তার পর কী হল সেটা তিনি মনে করতে পারছেন না।
এদিকে এরিকসন জ্ঞান হারিয়ে মাঠের মধ্যে পড়ে যাওয়ার পর রেফারি ম্যাচ বন্ধ করে দেন। এক ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে ম্যাচ আবার শুরু হয়। ম্যাচটিতে ফিনল্যান্ড ১-০ গোলে জেতে। ৫৯ মিনিটে গোল করেন জোয়েল পোহিয়ানপোলো।