ঘূর্ণিঝড় যশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন নিয়ে ফের সংঘাতে জড়াল কেন্দ্র ও রাজ্য। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সব অভিযোগকে তুলোধোনা করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব বারে বারেই দেখিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একাধিক ট্যুইট করা হয়। আমার ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই সব ট্যুইট করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আমার প্রতি যদি কোনও রাগ থাকে, যদি আপনার পা ধরতে হয়, তাহলে বাংলার মানুষের জন্য তাই করতে রাজি। এই নোংরা খেলা বন্ধ করুন। রাজ্যের সঙ্গে বিনা আলোচনায় কীভাবে মুখ্যসচিবকে বদলি করা হয়? আলাপনের দোষটা কোথায়? দয়া করে মুখ্যসচিবের বদলীর চিঠি প্রত্যাহার করুন। মুখ্যসচিবকে দিল্লি তলবের নির্দেশ প্রত্যাহার করুন। মুখ্যসচিবকে কাজ করতে দিন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঙালি বলে এত রাগ? বাংলার ওপর এত রাগ কেন?’ এদিন মমতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অন্য রাজ্যে যাবেন বলে এ রাজ্যে আসেন। আমরা তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেখা করি। আমার সফর ঘোষণার পর জানতে পারি উনি আসছেন। দুর্গত এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি আমি আগে ঘোষণা করেছিলাম। সংবাদমাধ্যমে অসত্য খবর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের কপ্টার আকাশে প্রায় ২০ মিনিট চক্কর কাটে। ১ মিনিট সময় চেয়েছিলাম দেখা করতে চাই বলে। আমাদের আগে বলা হয়েছিল শুধু প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। বৈঠক নিয়ে ঠিকমতো বার্তাও দেওয়া হয়নি। পরে দেখলাম বিরোধী দলনেতারা পৌঁছে গিয়েছেন বৈঠকে!’ এরপরেই উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৈ রাজস্থান বা গুজরাটে কোনও বৈঠক হলে তো প্রধানমন্ত্রী কোনও বিরোধী দলনেতাকে ডাকেন না? আমরা ভোটে জিতেছি, তাই কি আমাদের সঙ্গে এই আচরণ করা হচ্ছে? হার হজম করতে পারছে না, তাই এমন আচরণ করছেন। এভাবে আমাদের অপমান করবেন না। জনতার রায় মেনে নিন। আপনি শুধু আমাকে নয়, আমার সচিবদেরও হয়রান করছেন। আইএএস আধিকারিকরা মর্মাহত। অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। অবিলম্বে মুখ্যসচিবের বদলীর আদেশ প্রত্যাহার করুন।’