দীপিকা পাড়ুকোন নয়, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে ‘মাস্তানি’র ভূমিকায় ভেবে রেখেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। শুধু তাই নয় পদ্মাবত ছবির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। প্রসঙ্গত,ঐশ্বর্য রাই এবং সঞ্জয় লীলা বনশালির জুটি ‘দেবদাস’ ও ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ বক্স অফিসে রেকর্ড তৈরি করেছিল। সেকথা দর্শকদের মনে এখনো গেঁথে আছে। পরবর্তীকালে ‘গুজারিশ’ ছবিটিও সমালোচকদের তারিফ কুড়িয়েছিল। তাই সঞ্জয়ের ‘বাজিরাও মাস্তানি”তে খুব সংগত কারণেই ঐশ্বর্য রাই ছিল প্রথম পছন্দ। ‘পদ্মাবত’ ছবির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও পদ্মাবতীর ভূমিকায় দীপিকার বদলে ঐশ্বর্য কিভেবে রেখেছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। কিন্তু তবুও দুঃখের এই ঐশ্বর্যর বদলে দীপিকাকে নিয়ে কাজ করতে হয়েছিল পরিচালককে। কিন্তু কিসের জন্য? সাম্প্রতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য নিজেই সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জানিয়েছেন যে, এই দুটি ছবির প্রস্তাব এই তিনি সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বিপরীতে উপযুক্ত এবং মানানসই কোন নায়ককে খুঁজে পাননি বনশালি। ঐশ্বর্য বলেন,’সেখানে আমার কি করার আছে?’তবে ছবি তৈরির ক্ষেত্রে কাস্টিং ব্যাপারটা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি অভিনেত্রী। এই কেমিস্ট্রি ঠিক না হলে পর্দায় ছবি জমে না। সঞ্জয় লীলা বানসালীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি সব সময় অনুভব সে কথা জানাতে ভোলেননি বচ্চন পরিবারের বউ ঐশ্বর্য।‘বাজিরাও মাস্তারি’ সিনেমায় দীপিকার বিপরীতে বাজিরাও চরিত্রে অভিনয় করেন রণবীর সিং। অন্যদিকে, ‘পদ্মাবত’ সিনেমায় আলাউদ্দিন খিলজি চরিত্রেও দেখা যায় এই অভিনেতাকে।