বছরের একমাত্র ক্লে-কোর্ট গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর আগে নেওমি ওসাকা জানিয়েছিলেন গোটা টুর্নামেন্টে তিনি কোনও প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেবেন না। কথা বলবেন না কোনও মিডিয়ার সঙ্গে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেয়া বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা মানসিক চাপ তৈরি করে একজন খেলোয়াড়ের ওপর, এটাই ছিল মহিলা সিঙ্গলসে ওয়ার্ল্ড নাম্বার টু’র এটাই যুক্তি।
টেনিস ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন ওসাকা। তবে এমন সিদ্ধান্ত কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে তাঁর জন্য। ফ্রেঞ্চ ওপেন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ইতিমধ্যে জরিমানা করেছে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার জন্য।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে রোমানিয়ার পাত্রিসিয়া মারিয়ার বিপক্ষে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪) গেমের সরাসরি জয় পান ওসাকা। ম্যাচের পর পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন না। এটা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ফ্রেঞ্চ ওপেন কর্তৃপক্ষ।
১৫ হাজার ডলার ( প্রায় ১২লাখ ৭৫হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে এই জাপানি টেনিস তারকাকে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতিতে ওসাকাকে জানিয়েছে ভবিষ্যতে এমন আচরণের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে সকল গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে।
বিবৃতিটিতে বলা হয়, ‘গ্র্যান্ড স্ল্যামের অন্যতম নিয়ম হচ্ছে খেলোয়াড়দের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা। ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন এটা একজন খেলোয়ারের দায়িত্ব যাতে করে তিনি নিজে, ফ্যানরা ও সামগ্রিকভাবে খেলাটি থেকে লাভবান হয়। নেওমি ওসাকাকে জানানো হয়েছে, তিনি যদি টুর্নামেন্ট জুড়ে মিডিয়াকে বয়কট করতে থাকেন তাহলে কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে।
‘এই ঘটনা বারবার হতে থাকলে আরও কঠিন শাস্তি পেতে হতে পারে। এমনকি সেই টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি অন্যান্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকেও বহিষ্কার হতে পারেন। তারই সঙ্গে আরও বড় অঙ্কের জরিমানার আশঙ্কা থাকবে ।’
ওসাকা অবশ্য সরকারিভাবে এর কোনও পাল্টা জবাব দেননি। কেবল এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘পরিবর্তন মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে।’
মিডিয়াকে বয়কট ও প্রেস কনফারেন্সে যোগ না দিলেও প্রথম রাউন্ডে জয়ের পর ওসাকা অন কোর্ট সাক্ষাৎকার ঠিকই দিয়েছেন টিভি সম্প্রচারকারীদের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ক্লে-কোর্টে আমার গতি এখনও পুরোপুরি ফিরে আসেনি। আরও ম্যাচ খেললে আশাকরি আরও ভালো হবে।’