শুক্রবার কোয়েস্ট মলে শুরু হল ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচি। গাড়ি নিয়ে এসে এখানে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কো-উইন অ্যাপ থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতি গাড়িতে চারজন পর্যন্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের গাড়ি থেকে বের হতে হবে না।
এদিন ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার এখানে মোট ২৪৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে পুরসভার উদ্যোগে ৩ রা জুন থেকে শহরে শুরু হয়েছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’ পরিষেবা। আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই লেক মার্কেটের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। লেক মার্কেট এবং লেক মলের দোকানদার, কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই পরিষেবা মূলত পাচ্ছেন ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, দিনমজুররা। তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে বিশেষ বাস চালু করছে কলকাতা পুরসভা। ভ্যাকসিন মিলছে কোনও পূর্ব নথিভুক্তিকরণ ছাড়াই। পুরসভার দাবি, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, দোকান ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ তাঁরা রোজ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। অপরদিকে, পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সব বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। পুর ও পরিবহণ দফতরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতায় ৩০ হাজার লোককে আমরা প্রতিদিন ভ্যাকসিন দিচ্ছি৷ কেন্দ্রের কাছে আমরা আরও ভ্যাকসিন চাইছি৷ দু-দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের কাছে আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। এখন আরও ৮.৬ কোটি ভ্যাকসিন চাইছি। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য আমাদের ওই টিকা চাই।’ তিনি আরও জানান, ১৭.২ লক্ষ ভ্যাকসিন কিনেছে রাজ্য। তার জন্য ৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার।
এদিকে, এদিন রাজ্যে এল আরও ৮০ হাজার কোভ্যাকসিন। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১ কোটি ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ।