সংক্রমণ ঠেকাতে চালু হওয়া করোনা বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে কিছুটা ছাড় দিয়েছে সরকার। আর এই ছাড়ের আওতায় বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান বিভিন্ন সময়ে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার তাতে যোগ হল বই পাড়া বা বইয়ের দোকান। মিষ্টির দোকান গয়নার দোকান ও শাড়ির দোকানের মতো আংশিক সময়েও খোলা থাকবে বইয়ের দোকান। গত ২৮ মে বুক সেলার্স গিল্ডের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে বইয়ের দোকান কিছু সময় খোলার ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়।সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বইয়ের দোকান খোলা রাখার কথা জানান। সেই মতো মঙ্গলবার থেকেই খুলে গেল বইপাড়া সহ বিভিন্ন বইয়ের দোকান। সে ক্ষেত্রে অল্প হলেও বিক্রির মুখ দেখবেন প্রকাশকেরা।
কলেজ স্ট্রিটের বই-ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বছর লকডাউনের সময় থেকে তাঁদের ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়েছে। তার পরে এসেছিল আমফানের ধাক্কা। বহু প্রকাশনা সংস্থার অফিস এবং বিক্রেতার দোকানে জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল লক্ষাধিক টাকার বই। গত ডিসেম্বরে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করার পরে ব্যবসা ধীরে ধীরে চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল। কিন্তু চলতি বছরে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে। বিক্রেতাদের মতে, ব্যবসার ভিতটাই ভেঙে দিয়েছে করোনা। সেই পরিস্থিতিতে সরকারের এই সাময়িক ছাড় কিছুটা হলেও তাঁদের ক্ষতির বিষয়টি সামলাতে সহায়তা করবে বলেই মত বিক্রেতাদের।