বালুরঘাট: প্রথমে লকডাউন তারপর কোভিডের বিধিনিষেধের ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বালুরঘাট ব্লকের মিষ্টি কুমড়ো চাষিরা। একদিকে ঝড় বৃষ্টি তার ওপর কৃষিজাত ফসল বিক্রি করতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে বালুরঘাটের মিষ্টি কুমড়ো চাষিরা। কোভিড বিধিনেষেধের ফলে মিষ্টি কুমড়ো কিনতে মহাজনরা আসতে পারছেন না। আবার কেউ এলেও তেমন দাম বলছে না। এমতাবস্থায় খোলা আকাশের নীচে পড়ে পড়ে মিষ্টি কুমড়ো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ো দ্রুত বিক্রি করতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু, বোয়ালদাড় এবং বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় মিষ্টি কুমড়ো চাষ হয়। পলিমাটি হওয়ায় এই এলাকায় মরসুমি মিষ্টি কুমড়ো চাষ ব্যাপক হারে হয়। প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার কৃষক এই মিষ্টি কুমড়োর চাষ করেন। এবারেও বালুরঘাট ব্লকে প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়োর চাষ করেছেন কৃষকরা। একদিকে জমিতে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালোমতো ফসল হলে এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কুইন্টাল মিষ্টি কুমড়ো হয়। আর বাজারে ঠিকমতো দাম থাকলে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্যবারের তুলনায় এবারে মিষ্টি কুমড়োর ফলন ভালো হয়েছে। এদিকে চলতি মাসের প্রথম থেকে মিষ্টি কুমড়ো উঠতে শুরু করেছে। তবে এবারে কোভিডের বিধি নিষেধের জন্য মিষ্টি কুমড়ো বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। কারণ বিধি নিষেধ জারি থাকার জন্য বাইরে থেকে মহাজনরা আসতে পারছেন না জেলায়। এদিকে কুমড়ো উঠে যাওয়ায় কৃষকরা তা মাঠ থেকে তুলে এনে তা বাড়ির পাশে খোলা আকাশের নীচেই জমা করছেন। এদিকে এবার প্রথম থেকেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তার ওপর দাম না থাকায় বিক্রিও করতে পারছে না কুমড়ো৷ এমতাবস্থায় পচে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ো। অন্যান্য বছর প্রতি কেজি কুমড়োর দাম ৭-১০ টাকা থাকত। এবার ২-৪ টাকা বলছে। যার ফলে খরচের টাকাও উঠবে না বলে বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজুয়ার কৃষকরা জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে কি ভাবে কি করবেন তা বুঝেই উঠতে পারছেন না তাঁরা৷