আর্জেন্তিনা-১ উরুগুয়ে–০
(গিদো রডরিগেস)
প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির গোলও জেতাতে পারেনি আর্জেন্তিনাকে। চিলির সঙ্গে সে ম্যাচ ড্র করতে হয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকালে কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়েকে হারিয়ে আবার জয়ের সরণিতে ফিরল আর্জেন্তিনা। ব্রাসিলিয়ার মানে গ্যারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটে মেসিরই পাস থেকে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করলেন গিদো রডরিগেস। দেশের হয়ে এটিই তাঁর প্রথম গোল। ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল আর্জেন্তিনা বুঝি অনেক বড় ব্যবধানে জিতবে। কিন্তু নিজের দলের ফুটবলারদের গোল মুখে ব্যর্থতা এবং উরুগুয়ের গোলকিপার ফের্নান্দো মুসলেরার চমৎকার গোলকিপিংয়ের জন্য আর গোলের মুখ দেখতে পায়নি লিওনেল মেসির ছেলেরা। উল্টো দিকে এডিনসন কাবানি এবং লুই সুয়ারেজের মতো দুরন্ত স্ট্রাইকার থাকা সত্ত্বেও উরুগুয়ে যে গোল করতে পারল না এটা তাদেরই ব্যর্থতা।
আর্জেন্তিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি এবার এক নতুন রণনীতি নিয়ে খেলছেন। তারকাদের বসিয়ে রেখে নতুনদের সুযোগ দিচ্ছেন। যেমন এদিনও তিনি সের্গেই অগুয়েরো কিংবা আ্যাঞ্জল দিমারিয়াকে বসিয়ে রেখে নতুনদের সুযোগ দিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছেলেরা সেই সুযোগটা নিতে পারেননি। লাউতারো মার্টিনেস কিংবা ক্রিস্তিয়ান রোমেরো-রা তাঁদের সামনে আসা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। এবং এই পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে হতাশ লাগছিল মেসিকে। ফুটবল জীবনের উপান্তে এসে কাদের সঙ্গে তাঁকে খেলতে হচ্ছে এটা ভেবে হতাশা আসতেই পারে তাঁর। মেসিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
উরুগুয়ে টিমটার শক্তি তাদের দুই সেরা স্ট্রাইকার এডিনসন কাবানি এবং লুই সুয়ারেজ। দু জনেই গত মরসুমে খুব ভাল ফর্মে ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে কাবানি প্রচুর গোল করেছেন। আর বার্সেলোনা তাঁকে বিদায় জানালেও আ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে সুয়ারেজ কিন্তু খুবই ভাল খেলেছেন। দিয়েগো সিমোনের টিমকে লা লিগা জেতাবার পিছনে তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল। ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করেছেন সুয়ারেজ। কিন্তু আর্জেন্তিনা ম্যাচে সেই ফর্মে পাওয়া যায়নি এই দুজনকে। গোলের সুযোগ তাঁদের কাছেও এসেছিল। কিন্তু হয় ডিফেন্সের পাঁচিলে আটকে গেছে সে সব। নয় আর্জেন্তিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বিশ্বস্ত হাতে বন্দী হয়েছে। এটা এবারের কোপায় উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ। পরের ম্যাচে সুয়ারেজরা আরও ভাল খেলবেন বলে আশা করা যায়। তবে সুয়ারেজদের গোল করতে না দেওয়ার পিছনে আর্জেন্তিনা ডিফেন্ডার নিকোলাস অটোমেন্ডিরও বড় ভূমিকা ছিল।
আর্জেন্তিনার সবচেয়ে বড় শক্তি লিওনেল মেসি। কিন্তু তাঁকে কি সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা গেল? ফ্রি কিক-গুলো ভালই মেরেছেন। তবে তাঁর পা থেকে যে সব ডিফেন্সচেরা পাস দেখতে আমরা অভ্যস্ত সেগুলো এদিন পাওয়া যায়নি। তবে টুর্নামেন্ট সবে শুরু হয়েছে। এখনও অনেকটা বাকি। মেসি ভক্তরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।