করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর পাঁচটি গ্রাম-শহরের তুলনায় উত্তরবঙ্গের চায়ের মহল্লার শৃঙ্খলা বোধ যে অনেক বেশি আঁটোসাটো তার প্রমাণ মেলে চা বাগান গুলিতে ঢুঁ মারলেই। ইংরেজ আমলে শেখানো নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলার পরম্পরায় আজও অবিচল চা বাগানের বাসিন্দারা। রবিবার ছুটির দিন হলেও কাজে নিস্তার নেই আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের প্রত্যন্ত চা বাগান সংকোশের শ্রমিক ও কর্মচারীদের। সাত সকালে উঠেই কোভিডের থাবা থেকে চা বাগানটির প্রায় ছয় হাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষার প্রশ্নে জোরকদমে শুরু করা হয়েছে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ। স্বেচ্ছা শ্রমে একের পর এক শ্রমিক মহল্লায় চলছে স্যানিটাইজেশন। স্প্রে মেশিন ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হচ্ছে চা বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে। শ্রম দান করছেন শ্রমিকরা। এমনিতেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর উত্তরবঙ্গের চা বাগান গুলির বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগের শেষ ছিল না জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু কোথাও যেন নিজেদের সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে অন্যান্য সব জনপদের তুলনায় নিজেদের অজান্তেই করোনা যুদ্ধে রোল মডেল হয়ে উঠেছে চা বাগান গুলি।