নীল রঙের জয় হল। চে – এল – সি। চে – এল – সি। জয়গান স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামের বাইরে। গোটা ইংল্যান্ডে। গোটা ফুটবল বিশ্বে। হাওয়াই স্বাভাবিক। ইউরোপ সেরা এখন তারাই। শনিবার রাতে পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসি ট্রফি নিয়ে আনন্দে ভাসলো। এই মরশুমে দুরন্ত ফর্মে থাকা ম্যানচেষ্টার সিটিকে ১-০ গালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল। চেলসির হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজ। চুক্তি অনুযায়ী দলের সবচেয়ে দামী ফুটবলার তিনি। কিন্তু এই মরশুমে সুবিধা করতে পারছিলেন না। শনিবার মোক্ষম মঞ্চে নায়ক হয়ে উঠলেন।
জার্মান ফুটবলার হাভার্টজ গোল খরার মধ্যে দিয়ে চলছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার এই ফাইনালের আগে ১৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন। একটিও গোল করতে পারেননি। এরমধ্যে ১১ টি দলের গোল হওয়ার পিছনে তাঁর ভূমিকা ছিল মাত্র ৩টি গোলে। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে শুধুমাত্র গোল করলেন। ২০১৩ সালে এই ইউরোপিয়ান সেরা টুর্নামেন্টে এমনটা ঘটেছিল ইইকে গুণ্ডগানের ক্ষেত্রেও। কেবলমাত্র ফাইনালে গোল করেছিলেন। প্রায় ২৩ বছরের বয়সে হাভার্টজ হলেন এমন কীর্তির ১১তম ফুটবলার যিনি সবচেয়ে কম বয়সী হয়ে ফাইনালে গোল করলেন। এটাও হল, তিনি হলেন প্রথম জার্মান ফুটবলার যিনি কোনও জার্মান দলের দলের হয়ে না খেলে অন্য দেশের ক্লাব দলের হয়ে খেলে ফাইনালে গোল করলেন।
এবার নিয়ে চেলসি দ্বিতীয়বার এই খেতাব জিতলো। এবারের টুর্নামেন্টে এই দল খেলেছে মত ১৩ টি ম্যাচ। ৯টি তে জয়। ড্র ৩টি। আর হার একটিতে। নিজেরা ২৩ টি গোল করেছে। খেয়েছে মাত্র ৪টি ( যা সব দলের মধ্যে সবচেয়ে কম)।
ম্যান সিটির কোচ পেপে গার্দিওলার জন্য এই দলকে ফাইনালে এগিয়ে রেখেছিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরশুমের চ্যাম্পিয়ন বলে কথা। কিন্তু এই ফাইনালে জয়ের পর চেলসি কোচ থমাস তুচেল বিশ্ব ফুটবলের কোচ গুয়ারদিওলার প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেন। ১৮ মাসের চুক্তিতে তুচেল নীল দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই সাফল্যের পর চেলসি নিশ্চিতভাবে নুতন চুক্তি করে তাঁকেই ধরে রাখবে।