চিঠি পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আনা শো-কজ নোটিশের উত্তর দিলেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার একটি চার পাতার চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, এদিন যে বিষয়বস্তু নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই একই চিঠি একই বিষয়বস্তু দর্শীয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু এক। দ্বিতীয়ত চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে না থাকার কথা যে কেন্দ্রের তরফে বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ কলাইকুণ্ডায় যশ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে তাঁরা হাজিরা দিয়েছিলেন। চার পাতার চিঠিতে একাধিক বিষয় উল্লেখ আছে। যেহেতু কেন্দ্রের যে শোকজ পাঠানো হয়েছিল সেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব দু’জনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল। সেজন্যেই দু’জনের চিঠির বয়ান এক। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর। সদ্য প্রাক্তন রাজ্যেয়র মুখ্যশসচিব আলাপন বন্দ্যোিপাধ্যায় স্বয়ং কেন্দ্রের দেওয়া চিঠির জবাবে জানান, কলাইকুণ্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকে তিনি উপস্হিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্লেন ল্যা ণ্ডের জন্য মাঝ আকাশে তাঁদের চপার আটকে ছিল। তাই দেরি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘রাজ্যেলর মুখ্যতমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসি। রাজ্যোর দায়িত্ব পালনে সুপ্রীম সর্বময় কর্তা হিসাবে তাঁর কথায় মান্যাতা দিতে আমার পেশাগত দিক দিয়ে বাধ্যেবাধকতা আবশ্যিঠক ছিল। আমার ইমিডিয়েট অথরিটির কথা অমান্যন করতে পারিনি।’ একই সঙ্গে আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বর্তমান মুখ্যেসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। দুটো চিঠিতেই একথা স্পষ্ট যে, কলাইকুণ্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যকমন্ত্রীর বৈঠকের কথা ছিল। ওই বৈঠক জাতীয় বিপর্যয় ম্যা নেজমেন্ট অথরিটির ডাকা বৈঠক বলে চিঠিতে উল্লেখ ছিল না। এটা একটা রিভিউ বৈঠক ছিল। এরকম বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হয়েই থাকে। তৎকালীন মুখ্যরসচিব মুখ্যকমন্ত্রীর সঙ্গে ঝড় নিয়ে রিভিউ বৈঠক করছিলেন। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যা নও তৈরি করছিলেন। তা প্রধানমন্ত্রীর হাতেও তিনি তুলে দেন। তবে এই বৈঠকে জাতীয় বিপর্যয় ম্যা নেজমেন্ট অথরিটির কোন জনকল্যািণমুখী পরিকল্পনার কথা আগাম বলা হয়নি। যে পরিকল্পনা মুখ্যাসচিব দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বা বাস্তবে রূপায়ণ করতে ব্যণঘাত সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যা ন তৈরি করতেই তিনি ব্যীস্ত ছিলেন। তাই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মোতাবেকে আলাপন বন্দ্যো্পাধ্যাযয়কে শাস্তি দেওয়াটা ঠিক হবে না। বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যা ন তুলে দেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই মুখ্যনমন্ত্রী মুখ্যেসচিবকে নিয়ে বেরিয়ে যান। কারণ তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত দীঘার প্রোগ্রাম ছিল বলে।