কলকাতার আকাশ থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য উদ্যোগী হল প্রশাসন। কেবল অপারেটর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে আজ শনিবার নবান্নের সভা ঘরে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঊনিশটি সংগঠনের সঙ্গে এদিন বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার ওপর দিয়ে কোন তার আর নিয়ে যেতে দেবে না প্রশাসন।
পরীক্ষামূলক ভাবে হরিশ মুখার্জি রোডে এই কাজ শুরু করা হচ্ছে। রাস্তার দু’ধারে ২.৬ কিলোমিটার রাস্তা কেবলের তার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাবেন। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার এই কাজ শুরু হবে। এই কাজে কত খরচ হচ্ছে তা দেখে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে সার্ভিস প্রোভাইডারদের। তবে গ্রাহকদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কাজ হবে আলিপুর রোড ডিএল খান রোড এবং জাজেস কোর্ট রোডে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এর আগে ৩০টির মত মিটিং করা হয়েছে কিন্তু কোনও জায়গায় কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার যারা নির্দেশ মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৈঠকে সার্ভিস প্রোভাইডাররা বলেন, মাটির নীচ দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কেএম সি’র কাছ থেকে কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।’ এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন যে, ‘পোস্টে বেঁধে এই তার নিয়ে যাওয়ার সময় অনুমতি কেএম সি’র থেকে নেওয়া হয়নি। তাঁদের এই জঞ্জাল আর বরদাস্ত করা হবে না।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুটি কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢুকতে অসুবিধা হয় এবং বহু জায়গায় দেখা গেছে ল্যাডার তুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। দ্বিতীয়তঃ অনেক সময় দেখা গেছে তারের ভারে ল্যাম্পপোস্ট পড়ে গেছে এবং দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে রুবি থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই কাজ করা হয়েছে কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন কর্মীরা।’ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, তাই এই কাজে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। অল বেঙ্গল কেবল টিভি অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড অপারেটরস ইউনাইটেড ফোরামের তরফে চন্দ্রনাথ পাইন বলেন, ‘সরকারকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে ফোরাম।’