বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাস্যময়ী চিত্রতারকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তিনি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার অভিনেত্রী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে এমনই অভিযোগ করেছেন। তার সঙ্গে ঘটা অন্যায় ব্যাভিচার এর বর্ণনা দেন অভিনেত্রী। পরিমনির ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সেদেশের চলচিত্র জগত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিচার চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া এহসান। জয়া লিখেছেন,”পরিমনির খবরটা শোনার পর থেকে বেদনা ও ধিক্কারে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে। আমি কষ্ট পাচ্ছি মানুষ হিসেবে,মেয়ে হিসেবে,অভিনয় জগতের একজন কলাকুশলী হিসেবে।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন পরীমনি, ‘বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমনি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ পরীমনি সাংবাদিকদের জানান, ‘গত বুধবার (৯ জুন) রাতে পূর্বপরিচিত জেমির সঙ্গে বোট ক্লাবে যাই। সেখানে গিয়ে দেখেন নাসিরুদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন জেমি। টেবিলে দুটি মদের বোতল ছিল। পরীকে মদ্যপানের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করেন তিনি। পরে তাকে কফি খেতে দেওয়া হয়। তবে,কফিতে চুমুক দিয়ে পরীমনি বুঝতে পারেন কফির স্বাদ স্বাভাবিক না। তাই কফি পান করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হন নাসিরুদ্দিন। পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা জেমি ওয়াশরুমে যেতে চাইলে পরীকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি তারা বাড়ি যেতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। এরপর নাসিরুদ্দিন পরীমনিকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন এবং মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে তার দাঁতে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলার মধ্যে চলে যায়। এতে তার বুক জ্বালা করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাছাড়া জেমিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরীমনি-জেমি চিৎকার করলে পরীমনিকে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয় এবং গালাগাল করা হয়।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী,নাসির উদ্দিন নামে এই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।