যেকোনো দুর্যোগ কিংবা সংকটে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী (Vikram Doraiswami)। সোমবার বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মোহাম্মদ এনামুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন হাইকমিশনার।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিক্রম দোরাইস্বামী(Vikram Doraiswami)। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য হলেন ইন্ডিয়ান নেভাল এডভাইজার ক্যাপ্টেন জয়ন্ত মাহাদিক (Jayant Mahadik) । এসময় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে এ দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
“বিশেষ করে করোনাভাইরাস, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় ভারত ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে।”
বৈঠকে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা:.মোহাম্মদ এনামুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল । সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪,০৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল । তিনি বলেন,ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র ৭৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল । কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে । স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক এসময় কাজ করেছেন ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত প্রতিনিধি দলের বৈঠকে চারটি বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
১- বাংলাদেশ এবং ভারতে সম্ভাব্য দুর্যোগের ঘটনার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি
২- দু’দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশমন ও সহনশীলতা সৃষ্টি
৩- দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে দুর্যোগ সাড়াদান, পুনরুদ্ধার, প্রশমন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত এবং অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম চর্চাসমূহ বিনিময়।
৪- দুর্যোগ প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং প্রশমনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, রিমোট সেন্সিং, নেভিগেশন পরিষেবা এবং রিয়েল টাইম ডাটা শেয়ারিংয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি।