Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ |
K:T:V Clock
Aajke | দিলু ঘোষ বা শুভেন্দু এবার টিয়াপাখি নিয়ে রাস্তায় বসুন
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By: 
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:০০:৫৪ পিএম
  • / ১৩৪ বার খবরটি পড়া হয়েছে

সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ থাকবে, বিরোধী পক্ষ থাকবে, একে অন্যকে আক্রমণ করবে আবার তেমন ইস্যুতে একসঙ্গে মিলে রাজ্যের বা মানুষের স্বার্থে কাজ করবে এটাই কাম্য। এটাই এক আদর্শ সংসদীয় ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা সেই আদর্শ ব্যবস্থা থেকে ক্রমশ সরে এসেছি। ক্রমশ সরকার পক্ষ আর বিরোধী পক্ষের বিরোধিতা হয়ে উঠেছে সাপ আর বেজির লড়াই। কাম হোয়াট মে, একে অন্যের বিরোধিতা করবেই, এবং এ জিনিস আজ নয়, বহুকাল আগে থেকেই এই জিনিস শুরু হয়েছে। সরকার পক্ষ যাই করুক বিরোধী পক্ষ তার তীব্র বিরোধিতা করবে, এটাই এখন স্বাভাবিক। দুর্গাপুজোয় কলকাতার রাজপথে এক কার্নিভাল, আলোর রোশনাই, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি, কিন্তু বিরোধীরা বিরোধিতা করছেন, সরকারের কি কোনও কাজ নেই? এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন, তখন তিনিও করেছেন। বন্যায় ত্রাণ দিতে যাওয়া মন্ত্রীর মুখে কালি মাখানো হয়েছে, ওসির চেয়ার দখল করে বসে পড়া হয়েছে। এসব তখনও হয়েছে এখনও হচ্ছে আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের এই চেহারাটার সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়েই নিয়েছি। ধরেই নিয়েছি আগুন লাগলে সরকারের মন্ত্রী সান্ত্রীরা যতই হাজির থাকুক, যতই তৎপরতা দেখাক, বিরোধী দল মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাবে, এটাই এখন দস্তুর। মোদিজি আসার পরে জাতীয় রাজনীতিতে এই চরম বিরোধিতার রাজনীতি এক অন্য পর্যায়ে গেছে। আমরা এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে চোর, জেলে পোরা উচিত, লুটেরা, ডাকু হ্যায়, হিন্দুবিরোধী ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করতে দেখিনি। নেহরু তো ছেড়েই দিলাম, পরবর্তী কোনও প্রধানমন্ত্রী সে অটল বিহারী বাজপেয়ীই হন বা ইন্দিরা গান্ধী কেউই এই নিচুতে নামার কোনও দৃষ্টান্ত রেখে যাননি। কিন্তু তবুও এটা ওই তীব্র বিরোধিতারই অঙ্গ, ভোটপ্রচারে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীও লাগামছাড়া প্রচার করছেন। এবং সেটাও মানুষ মেনে নিচ্ছেন, মেনে না নিলেও অন্তত অভ্যস্ত হচ্ছেন। কিন্তু এখন আরেক নতুন জিনিস আমরা দেখতে পাচ্ছি, আর এক নতুন পদ্ধতি। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা বিধানসভাতে, সাংবাদিকদের সামনে, মিটিংয়ে, পথসভায় প্রকাশ্যেই বলছেন, তোমার ঘরে ইনকাম ট্যাক্স রেড করিয়ে দেব, সিবিআই পাঠিয়ে দেব, ইডি রেড করিয়ে দেব। এবং তা হচ্ছেও। এই পদ্ধতি নতুন এবং ভয়ঙ্কর। আজ সেটাই বিষয় আজকে, দিলু ঘোষ বা শুভেন্দু এবার টিয়াপাখি নিয়ে রাস্তায় বসুন।

শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভাতেই দাঁড়িয়ে বলছেন ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দেব, বিধানসভার বাইরে বলছেন, ভাইপো এবার নোটিস পাবে, বলছেন বালু আর বের হতে পারবে না, বলছেন কালীঘাটের কাকুর কাছ থেকে সব বের হবে। এবং আমরা এরপরেই দেখছি ইনকাম ট্যাক্সের তৎপরতা বাড়ছে, ইডি নোটিস পাঠাচ্ছে, অভিষেককে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এগুলো কি কাকতালীয়? কাক সেই তালের উপরেই বসছে যে তাল পড়েই যাবে? নাকি এসবের বাস্তব ভিত্তি আছে। সে তর্ক না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু দিল্লির তখতে বসে থাকা এক দলের রাজ্য নেতা যখন এগুলো বলেন তখন পরিষ্কার মনে হয় বা মানুষ বুঝতে পারেন যে এ রাজ্যের বিরোধী দল, দেশের শাসকদল তার প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে। প্রতি পদেই তা পরিষ্কার, এবং এ এক বিপজ্জনক রাজনীতি।

আরও পড়ুন: Aajke | মহুয়া মৈত্রের পাশে দল নেই?

কেন? কারণ সংসদীয় রাজনীতিতে আজ না হয় কাল না হয় পরশু সরকার বদলাবে, বদলাবেই। তখন আজকের বিরোধী দল ক্ষমতায় বসবে, সেই দল আরও মারাত্মকভাবেই কাজে লাগাবে প্রশাসনকে, বিজেপি, মোদি-শাহ দেশের সাধারণ গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণাগুলোকেও শেষ করতে চান। এ জিনিস যে হবেই তা আজকে বিরোধী দলের কাছে যে রাজ্য সরকার আছে তাদের কাজকর্ম দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারাও তাদের সীমিত ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ, সিআইডি বিরোধী দলের নেতাদের হ্যারাস করছে, তাদের মিছিল মিটিংয়ে বাধা দিচ্ছে, টিট ফর ট্যাট আর কী। কিন্তু এটা কি এক সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ? আমরা সেটাই জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাদের দর্শকদের। প্রশ্ন ছিল, মোদি–শাহ সরকার যেভাবে তাদের এজেন্সিগুলোকে, সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হ্যারাস করছে, বিরোধীদের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে, তারা ক্ষমতা থেকে সরে গেলে আজকের বিরোধীরাও কি ঠিক এইটাই করার চেষ্টা করবে না? রাজনীতি এক প্রতিহিংসামূলক গোলকধাঁধায় ঢুকে যাবে না? শুনুন দর্শকেরা কী বলছেন।

তো এই প্রশ্ন আমরা করেছিলাম রাজ্যের বিরোধী নেতাদেরও। তাঁরা এক বাক্যে জানিয়েছেন, আইন আইনের মতো চলছে, নেতারা কিছু কথা বলছেন, তা মিলে যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এরকম নয় যে সিবিআই বা ইডি বিজেপি রাজ্য নেতাদের নির্দেশ মতোই কাজ করছে। তিনি তো বলেই খালাস, কিন্তু আমার মনে এই কথাগুলো শোনার পরে এক নতুন ভাবনার জন্ম নিল। শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলু ঘোষ, কার বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স যাবে, কার বাড়িতে ইডি যাবে, কাকে জেলে পুরেই রাখা হবে, জামিনও পাবে না, কাকে ইডি নোটিস পাঠাবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও নাকি নোটিশ পেতে চলেছেন, এসব যিনি বলে যাচ্ছেন, ওনাদের তথ্যসূত্র কি টিয়াপাখি? রাস্তার ধারে খাঁচায় বসে থাকা ভাগ্য বলে দিতে পারে এরকম টিয়াপাখি নিয়েই কি শুভেন্দু অধিকারী বা দিলু ঘোষের কাজ কারবার? তাহলে বসুন, বসে পড়ুন গান্ধীমূর্তির তলায়, অর্থনৈতিক এই দোদুল্যমান সময়ে আপনাদের জ্যোতিষবিদ্যা বেচে দুটো পয়সা রোজগার করলেও তো কাজ দেবে।

 

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

শহরে গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবতী​
রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
রবিবার ভারতে ফিরছেন ৯৫ জন বন্দি মৎস্যজীবী​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়ার, দেখে নিন​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
কীভাবে ছড়ায় HMPV ভাইরাস?​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
করোনাকালের নিঃসঙ্গতায় কাছে আসা, বিয়ে ভাঙতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটারের?​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
অন-ডিউটি অবস্থায় চরম সিদ্ধান্ত জওয়ানের! এয়ারপোর্টে মর্মান্তিক ঘটনা​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
বিদেশমন্ত্রক জানাল, এইচ ১বি ভিসা ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
বিশ্বে গুরুর প্রয়োজন, ভারত নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে: ভাগবত​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
চলে গেলেন পোখরানের ‘হিরো’! প্রয়াত ভারতীয় বিজ্ঞানী চিদম্বরম​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
ফুচকা খায়িয়ে ৪০ লক্ষ! বিক্রেতার বাড়িতে এল GST নোটিস​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
অতুল সুভাষ কাণ্ডে নয়া মোড়, জামিন পাচ্ছেন স্ত্রী নিকিতা​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা পূর্ব রেলের​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
রবিবার হাতবদল! আটক মৎস্যজীবীদের ফেরাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
একসঙ্গে ছুটি কাটিয়ে মুম্বই ফিরলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য​
শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team