শিলিগুড়ি: পুরসভা ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। কিন্তু, তারপর থেকেই শিলিগুড়ির তৃণমূল কর্মীদের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। কেউ কেউ প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে বা দলীয় কর্মসূচিতে না গিয়ে ঘরে বসে থাকেন, কেউ কেউ আবার নির্দল হিসাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মনোনয়ন দাখিল করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার।
বুধবার নির্দল প্রার্থী বিকাশ সরকার অভিযোগ করেন, তাঁর লাগানো বেশ কিছু ফ্লেক্স কে বা কারা রাতে ছিঁড়ে দিয়েছে। ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ নিয়ে বিকাশ তাঁর সমর্থকদের নিয়ে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে ধর্নায় বসলে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর বিকাশ সরকার বলেন, শাসকদল পেশিশক্তি দেখিয়ে অন্যায়ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এরপরে পুলিস তাঁকে কোভিড টেস্টের জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও এই বিষয়ে গৌতম দেবসহ জেলা নেতৃত্ব জানায়, তাদের এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই।
এখানে বলা যায়, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন দলের নির্বাচিত প্রার্থীদের সমর্থন করে নির্বাচনী প্রচার করতে হবে। কেউ যদি দল-বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার প্রার্থী না হতে পারায় নির্দল হিসাবে শিলিগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেশ করেন। গত ১০ জানুয়ারি রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।
নির্দল প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া
আরও পড়ুন- WB Civic Polls: শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূলকে সমর্থন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার
একইভাবে শিলিগুড়ির ১, ৩৯ এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী টিকিট না-পাওয়ায় নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মাসুম, রীনা দাস, মল্লিকা দেবনাথ সহ আরও কয়েকজনকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন জেলা নেত্রী পাপিয়া ঘোষ। যদিও গৌতম দেবের মধ্যস্থতায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী নিখিল সাহানি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।