কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid-19 Third Wave) জেরে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বাংলায়। দৈনিক আক্রান্তের (Covid19) সংখ্যা এক সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, একই পরিবারের সকল সদস্য সংক্রমিত হয়েছেন। হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন খাবার জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছেন একটা বড় অংশের মানুষ। করোনা আক্রান্তদের সুবিধার্থে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রবিবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’ টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একথা জানানো হয়েছে। সোমবার থেকেই কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অংশে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে।
টুইটে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোভিড-সংক্রমিত ব্যক্তিদের হোম ডেলিভারি পরিষেবার মাধ্যমে সুষম খাদ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ মৃদু উপসর্গযুক্ত বহু আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সেই তালিকা জোগাড় করেছে নবান্ন। তাঁদের কাছেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। নবান্ন সূত্রে খবর, করোনায় আক্রান্ত গরিব, অসহায় পরিবারগুলি যাতে অভুক্ত অবস্থায় না থাকে, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। সেকারণেই হোম ডেলিভারি চালু হচ্ছে। মেনুতে থাকবে, ভাত, ডাল, ডিম-মাছ, মাংস ও একটি সব্জি।
নবান্ন সূত্রে খবর, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা করোনা আক্রান্তদের পরিবারের জন্য বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিসের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এই কাজ করবে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। স্থানীয় ভাবে রান্না করা খাবারও পৌঁছনো হতে পারে। প্যাকেট করে চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুটের মতো শুকনো খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। মাথাপিছু তিন কেজি করে চাল, দেড় কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে প্যাকেট তৈরি করা হবে। সেই প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গল থেকে টানা বৃষ্টি বাংলায়, ভিজবে বিহার-ঝাড়খণ্ডও
রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোভিড-সংক্রমিত ব্যক্তিদের হোম ডেলিভারি পরিষেবার মাধ্যমে সুষম খাদ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।#Covidawareness #foodforall #foodlivery #homedelivery #westbengal pic.twitter.com/ObLJdliviB
— Banglar Gorbo Mamata (@BanglarGorboMB) January 9, 2022