নয়াদিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ভোট প্রচার থেকে ভোট গ্রহণ পুরোটাই কোভিডবিধি মেনে হবে৷ ঠিক তেমনি ভোটের ফল ঘোষণার পর কোনও প্রকার বিজয় মিছিল হবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে৷ বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজয় মিছিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ফল প্রকাশের আবির না ওড়ানোর নিদান দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে জয়ের সার্টিফিকেট আনার সময়ও দু’জনের বেশি যেতে পারবেন না।
কমিশন ভোট প্রচারের ক্ষেত্রেও কড়া বাধানিষেধ আরোপ করেছে৷ প্রার্থীরাও কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে৷ সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী না প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থার নিদান দেওয়া হয়েছে৷
বলা হয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সব রকম রোড-শো বাতিল। পদযাত্রা, সাইকেল মিছিল, বাইক মিছিল বা কোনও রকম গাড়ি নিয়ে মিছিল নিষিদ্ধ। একবার যদি কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কমিশনের এই সব নির্দেশ লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে আর নতুন করে সভা-মিটিল-মিছিল করার কোনও অনুমতি দেবে না কমিশন৷
নিরাপত্তা কর্মীদের বাদ রেখে, সর্বোচ্চ ৫ জন মিলে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে পারবেন। এই ৫ জনের মধ্যে প্রার্থীও থাকবেন।
প্রচারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার সময় একমাত্র কনভয় ব্যবহার করা যাবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত যে কোনওরকম মিটিং-মিছিল সভা করতে পারবেন না।
হেভিওয়েট প্রার্থী, রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সবমিলিয়ে ৩০ জায়গায় সভা করতে পারবে। তুলনায় অনামী প্রার্থী, রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলগুলো সর্বোচ্চ ১৫ জায়গায় সভা করতে পারবে। তবে, হেভিওয়েট প্রার্থী বা রাজনীতিবিদদের প্রচারের জন্য কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন-‘বাহুবলীরা’ কেন প্রার্থী? কারণ দেখাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে, নির্দেশ কমিশনের
কোনও প্রার্থী, কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও ভোটের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও গোষ্ঠী জমায়েত হয়ে কোনও মিছিল করতে পারবে না। রাজনৈতিক দল, প্রার্থীদের কাছে বেশি করে ভারচুয়াল, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের আবেদন রেখেছে কমিশন। মোবাইলে বা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ , পঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ((Election Dates for Uttar Pradesh announced) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Chief Election Commissioner Sushil Chandra) জানান, পাঁচ রাজ্যে সাত দফায় ভোট সম্পন্ন হবে৷ ৪০৩ আসনবিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশেই সবথেকে বেশি ৭ দফাতে ভোট হবে৷ মণিপুরে ভোট হবে দু’দফায়৷ বাকি রাজ্যে এক দফাতেই ভোট৷
পাঁচ রাজ্যের মোট ৬৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে৷ ভোট দেবেন ১৮.৩৪ কোটি মানুষ৷ সমস্ত ভোট প্রক্রিয়া কোভিড বিধি মেনে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট করাটা চ্যালেঞ্জ৷ কোভিড বিধি মেনে কী করে ভোট করা যায় তার প্রস্তুতি ছ’মাস ধরে চলছে৷
কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে৷ ২০১৭ সালে এই পাঁচ রাজ্যে যে বুথ সংখ্যা ছিল তার চেয়ে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে কমিশন৷ জানিয়েছে, প্রতি বুথে ভোটার সংখ্যা হবে ১২৫০৷