কলকাতা: শীতের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির ( West Bengal Heavy Rain Forcast) ভ্রুকুটি। একই সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় আবার শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় সবজি চাষের ক্ষতি(Protecting crops from Rain) হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে ১১ ই জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। একইসঙ্গে শিলাবৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি।তাই আগেভাগেই কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,
বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির ক্ষতি থেকে বাঁচতে পরিণত ফল বা সবজি আগেই তুলে নিতে হবে
বৃষ্টির ফলে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকলে আলুর জমিতে নাবি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে রোগহীন আলু গাছের প্রতিষেধক হিসেবে প্রতি ১৫ লিটার ট্যাংক পিছু ম্যানকোজেব ৫০% ডব্লিউ পি, সাড়ে ৩৭ গ্রাম অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড ৫০% ডব্লিউ অথবা পি ৬০ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আলু গাছ নাবি ধসাতে আক্রান্ত হলে আগে উল্লিখিত ছত্রাক নাশকগুলি অথবা ১৫ লিটার ট্যাংক পিছু ডাইমিথমর্ফ ৫০%
ডাব্লিউ পি ২০গ্রাম অথবা সাইমক্সানিল ও ম্যানকোজেব ৬০ শতাংশ ৪৫ গ্রাম জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বৃষ্টিপাতের আগে বা থামার পর রোগহীন সবজি ক্ষেতে ছত্রাক ঘটিত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে প্রতি ১৫ লিটার ট্যাংক পিছু ম্যানকোজেব ৭৫ % সাড়ে ৩৭ গ্রাম অথবা ক্লোরোথালোনিল ৭৫ % সাড়ে ৩৭ গ্রাম জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বৃষ্টিপাতের পর সবজি ফসল রোগাক্রান্ত হলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও নিরাময় কৃষি বিভাগের সাহায্য নেওয়া যাবে।
আর্দ্র আবহাওয়াযছে অনেক সময় সরষে ফসলে সাদা মরচে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগে আক্রান্ত সরিষা ক্ষেতে প্রতি ১৫ লিটার ট্যাংক পিছু মেটালাক্সিল ৮% ম্যানকোজেব ৬৪% ডাব্লিউ পি এর মিশ্রণ সাড়ে ৩৭ গ্রাম জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় চাষের জমির বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরবর্তি সব আবহাওয়ার বুলেটিনের দিকে লক্ষ্য রেখে ফলসের ক্ষেতের ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যে কোনও পরিস্থিতিতে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যায় স্থানীয় কৃষি অফিসে এসে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর।