ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামের করোনা সংক্রমণও ভাবাচ্ছে রাজ্য সরকারকে। ঝাড়গ্রাম জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার, পাঁচ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান সহ জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার উত্তম ঘোষ করোনায় আক্রান্ত। ফলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষাও সঙ্কটের মুখে।
পাশাপাশি বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে একজন মেডিক্যাল অফিসার সহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও করোনায় আক্রান্ত। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিত্রটাও ঠিক একইরকম। আক্রান্ত ডাক্তার, ল্যাব টেকনিশিয়ান, নার্স সহ ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী। ঝাড়গ্রাম জেলাশাসক দফতরেও একাধিক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দফতরের মূল গেট। বাইরে রাখা বক্সে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা করতে বলা হয়েছে।
এই অবস্থায় ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রশাসক কবিতা ঘোষের দাবি, ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা বাইরে থেকে এসেছে। বেড়াতে এসে পর্যটকদের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে করোনা। তিনি আরও বলেন, ঝাড়গ্রাম শহরে করোনার প্রভাব কম। কিন্তু ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বহু পর্যটক ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসেন। তাঁরা এসে বিভিন্ন হোটেলে ওঠেন। সেই জায়গাতেই মনে হচ্ছে ছড়িয়েছে করোনা।
আরও পড়ুন : করোনা আবহে বহরমপুরে চালু উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র
পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিলেও এখনও পর্যটক আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ঝাড়গ্রাম জেলার হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃতীয় ঢেউ আসার কারণে বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে আমরা। প্রচুর বুকিং বাতিল হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুরসভার তরফে এলাকা ভিত্তিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চলছে প্রচার।