বসিরহাট: মধ্যরাতে ভূত মেয়েদের হস্টেলে! ‘ভুলভুলাইয়া’ সিনেমার সিকোয়েন্স বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার নার্সিং হস্টেলে। ঠিক মধ্যরাত, হস্টেলের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কেউ। ছম-ছম-ছম করে নূপুরের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আবার কখনও ছাদে হাতুড়ি পেটানোর মতো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, স্বচক্ষে সেই ‘ভূতনি’কে দেখেননি কেউই। তবু, বছরখানেক আগে এই হস্টেলে ঝুলন্ত এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নানা রংয়ে চাউর হয়ে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। আর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ছাত্রীদের মধ্যে। অজানা সেই ‘শয়তান’কে এখনও আবিষ্কার করতে পারেননি কেউই।
ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, রাত ১১টা থেকে ১২টা বাজলেই বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার নার্সিং হস্টেলে কী যেন ছমছম করে আওয়াজ হচ্ছে। ঘর থেকে ছাত্রীরা বাইরে আসলে আর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ঘরের মধ্যে ঢুকলে নতুন করে শব্দ শুরু হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে এই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড চলছে নার্সিং কলেজে।
ছাত্রীরা বিষয়টি প্রথমে অভিভাবকদের জানান। এই ঘটনা জানার পরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গাইনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পাশাপাশি প্রিন্সিপাল অফ নার্সিং অফিসার ও সিনিয়র সিস্টার প্রীতিকণা সাহা, লিলি বিশ্বাস জানান, বিষয়টা আমরা পুলিসকেও জানিয়েছি। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তাঁরা জানান, সামনে মেয়েদের পরীক্ষা, এটা একটা চিন্তার বিষয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটছে তদন্ত করে দেখুক পুলিস।
আরও পড়ুন : জেলায় জেলায় ঠান্ডার সঙ্গে দাপট কুয়াশার, যান চলাচলে সমস্যা
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েন বলেন, বিষয়টি তিনি হাসপাতাল সুপার কালিদাস পোদ্দারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই হস্টেলে ১২০ জন নার্সিং ট্রেনিংয়ের ছাত্রী আছেন। ভূতের ভয় দেখিয়ে, অন্য কোন চক্রান্তের অভিসন্ধি আছে, মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে সেটা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
নার্সিং ছাত্রী অরিত্রা পাত্রগুড়িয়া সরকার ও সুপর্ণা প্রামাণিক বলেন, রাত হলেই আমাদের ঘুম উবে গিয়েছে। নিশিরাতে কে যেন কলেজের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আওয়াজ করছে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। কলেজের ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভূত ভিতরের কেউ, না বহিরাগত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।