কলকাতা: দু’দশক আগে, হাওয়ালা দুর্নীতি কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে৷ এবার বঙ্গ রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে হাওয়ালা যোগের অভিযোগ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই দুর্নীতিকে সামনে রেখে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালকে আক্রমণ মমতার
সোমবার জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেন৷ বলেন, হাওয়ালা জৈন মামলার চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যপালের৷ এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কেন রাজ্যপাল পদে বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সুরেই ধনখড়ের বিরুদ্ধে এবার আক্রমণ শানাল তৃণমূল৷ মঙ্গলবার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু হাওয়ালা কারবারে রাজ্যপালের যোগ এবং তাঁর সাংবিধানিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷
আরও পড়ুন: জৈনদের হাওয়ালা ডায়েরিতে রহস্যময় ‘ধনখড়’
সুখেন্দুশেখর রায় জানান, জৈনদের ডায়েরির পাতার শেষে ধনখড়ের নাম রয়েছে৷ তাঁর নামের পাশে লেখা ‘৫’৷ ওই ধনখড় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কি একই ব্যক্তি? জানতে চান তৃণমূল সাংসদ৷ সুখেন্দুশেখর জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর সোমবার বিকালে রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন তিনি নির্দোষ৷ হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নাম নেই৷ যে মামলার নিস্পত্তিই হল না তার আগে তিনি কী করে নিজেকে নিরাপরাধ বলে দাবি করলেন? রাজ্যপাল অর্ধসত্য বলছে বলেও দাবি করেন রাজ্য়সভার তৃণমূল কংগ্রেস৷
হাওয়ালা কাণ্ডকে তুলে ধরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ৷ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই৷’ তাঁর অভিযোগ, জৈন ভাইদের ডায়েরিতে ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল৷ নৈতিকতার কারণে তাঁর রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত৷ এ নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছিলেন৷ তাতে হাওয়ালা কারবার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে৷