কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু জারি হওয়ায় জেলার বিভিন্ন শহরে পথে নামল পুলিস। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নাইট কার্ফু বলবৎ করতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পক্ষ থেকে তল্লাশি অভিযান চলল। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি রাত দশটার পর যে সমস্ত মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথায় অসঙ্গতি মেলায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিস। এই অভিযান এখন প্রতিদিনই চলবে বলে জানিয়েছেন এসিপি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
বাঁকুড়াতেও নাইট কার্ফু সফল করতে ময়দানে নেমেছে পুলিস। সোমবার অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকে সারা রাজ্যে শুরু হয়েছে নাইট কার্ফু। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নাইট কার্ফু সফল করতে প্রথম দিনেই পথে নামল পুলিস।
আরও পড়ুন : IIT Kharagpur: ক্যাম্পাস খুলতেই খড়গপুর আইআইটি-তে করোনার হানা, আক্রান্ত ৩০
বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ও প্রশাসন শহরে নাইট কার্ফু লাগু করতে কড়া পদক্ষেপ নিল। রাত ১০টা বাজতেই শহরের রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে শুরু হয় অভিযান। রাত দশটার পর পথচলতি মানুষকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে পথচারীকে ধমক দিতেও দেখা যায় পুলিস কর্মীদের। তবে শুধু মাচানতলায় নয়, পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, জেলার সর্বত্রই নাইট কার্ফু কঠোরভাবে পালন করার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে পুলিস। সুনির্দিষ্ট কিছু জরুরি কারণ ছাড়া রাস্তায় বেরলে পুলিস যে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাইট কার্ফু ভেঙে রাস্তায় নামার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।
মালদহ শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিস নেমেছে সরকারি নির্দেশ পালন করতে। সোমবার রাতে শহরের রথবাড়ি মোড়, ফোয়ারা মোড়, কলেজ মোড়, নেতাজি মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিস যানবাহন আটকে দেয়। বিশেষ করে পঞ্চায়েত এলাকা থেকে রাতের বেলা যে সমস্ত গাড়ি শহরে ঢোকার চেষ্টা করেছে, তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যাদের মুখে মাস্ক ছিল না, তাদের সচেতন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলাশাসক করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত হয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসকও।