বছর কুড়ি পরও একটুও বদলান নি অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর আগামী ছবি ‘বছর কুড়ি পরে’র আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁর ছোট বেলার নানা কথা উঠে আসে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অর্পিতা ছোট থেকেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত চর্চা করতেন, ছোট বেলায় বাড়ির সকলে আশা করেছিলেন সঙ্গীত শিল্পী হবেন তিনি। তবে ১৯৯৭ সালের তিলত্তমা সুন্দরী প্রতিযোগিতার শিরোপা পাওয়ার পর, একের পর এক অভিনয়ের সুযোগ আসে , সেখানে থেকেই টলিউডে আসা। বহু বছর ধরে দর্শকদের হৃদয়ে রয়েছেন তিনি।
ছোটবেলায় ক্রিসমাস মানেই তাঁর কাছে ছিল কমলা লেবুর কোয়া আর পিঠে রোদ ফেলে বোটানিকাল গার্ডেনে বাড়ির বড়দের সঙ্গে পিকনিক।
স্কুলের বন্ধুদের কথা মায়ের থেকে মাঝে মধ্যেই শোনেন, তবে আড্ডা দেওয়ার সময় নেই।
স্কুলের কথা উঠতেই তিনি জানান , স্কুলের শিক্ষকদের কাছে তিনি টৈরর ছিলেন, সকলেই নাস্তানাবুদ হতেন অর্পিতাকে নিয়ে, প্রায়ই স্কুলের থেকে মা বাবাকে ডেকে পাঠানো হতো । বেজায় ডানপিটে ছিলেন অর্পিতা।
প্রেম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানালেন, সেই সময়তো মোবাইল ছিলোনা একটা করে ল্যান্ড লাইন ছিলো প্রতি বাড়িতে। তাই সেই সময় প্রেম নিবেদনের এক মাত্র উপায় ছিল চিঠি। এই রকম বহু বেনামী প্রেম পত্র ভরা থাকতো তাঁদের বাড়ির বারান্দা। তিনি ওসব নিয়ে মাথা না ঘামালেও মা বেশ মজা পেতেন চিঠি পড়তে, তবে হাবেভাবে গাম্ভীর্য দেখাতেন।
‘বছর কুড়ি পরে’ ছবির চিত্রনাট্য ঠিক এমনই ছোটবেলার স্মৃতিকে উসকে দেবে। তবে ছবিতে অর্পিতার অভিনীত চরিত্রের জীবনে কতোটা পরিবর্তন আসে , সেতো ছবি দেখেই বোঝা যাবে , তবে মানুষ অর্পিতা বছর কুড়ি পরও একই রকম রয়ে গেছেন।