বাঁকুড়া : রাস্তা কেটে কালভার্ট ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় দীর্ঘ তিন মাস ধরে বন্ধ ইটভাটা। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লাগোয়া মথুরামহল এলাকায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরির ফলে দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইটভাটা গত তিন মাস ধরে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইটভাটা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতি সুনীল দাস রীতিমতো হুমকি দিয়ে ইটভাটা সংলগ্ন কালভার্ট ভেঙে ইটভাটার মূল রাস্তা বন্ধ করে দেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লাগোয়া মথুরামহল এলাকায় কালভার্ট ভেঙে দেওয়ায় ইটভাটার মূল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ইটভাটা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে যে, ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি দিতেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুনীল দাস। এরপর গত তিনমাস আগে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ইটভাটা সংলগ্ন কালভার্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। কালভার্ট ভেঙে ফেলার ফলে ইটভাটার মূল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ওই তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে মোটা টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ইটভাটা কর্তৃপক্ষ জানায়, কাটমানির টাকা না দেওয়ায় গত তিনমাস ধরে ইট বিক্রি এবং উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছেন ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত হাজারখানেক শ্রমিক।
আরও পড়ুন : AAP-এ যোগদান দিতে চাইলে মিসড কল দিন, বাঁকুড়া শহরে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে জানায় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পুলিস, প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলাশাসক, পুলিস সুপার, প্রায় সব দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। একদিকে যখন রাজ্যে শিল্প চালু করার জন্য এবং উদ্যোগপতিদের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তখনই বিষ্ণুপুরে এক তৃণমূল নেতার দাদাগিরি ও হুমকির জেরে বন্ধ হয়ে গেল বহু প্রাচীন এই ইটভাটা।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল নেতার দাবি, ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সরকারি জায়গা দখল করে বিষ্ণুপুর শহরের নিকাশি নালা দখল করে ভাটা চালাচ্ছেন। বৃষ্টির জলে নিকাশি নালা দিয়ে জলে না যেতে পারায় এলাকায় কৃষিজমি জলের তলায় চলে যাচ্ছে। এই জন্য ইটভাটা কর্তৃপক্ষের করা ওই কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে এলাকায় মানুষের স্বার্থে। তবে তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল বিষ্ণুপুর শহর সভাপতি সুনীল দাস।