চণ্ডীগড়: শনিবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে নিহত যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে, পুলিসের একটি সূত্র নিশ্চিত করে, নিহত বছর তিরিশের ওই যুবকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তাঁর সম্পর্কে বিশদ খোঁজখবর সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। পঞ্জাব সরকারের নির্দেশে রবিবার স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)-ও গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্বর্ণমন্দিরে ওই যুবক একাই ছিলেন, নাকি আর কোনও সঙ্গী ছিল, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অমৃতসরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিস (এসিপি)সঞ্জীব কুমার রবিবার জানান, শনিবার সন্ধ্যার অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বর্ণমন্দিরের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহ শেষে রবিবার স্বর্ণমন্দিরে অনেক ‘সংগত’ এসেছিলেন। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলে দাবি করেন পুলিসকর্তা।
স্বর্ণমন্দিরে পবিত্রতা নষ্ট করার অভিযোগে শনিবার বছর তিরিশের এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রেলিং ডিঙিয়ে স্বর্ণমন্দিরের উপাসনার জায়গায় ঢুকে পড়েছিলেন ওই যুবক। সেখানে তখন প্রতি সন্ধ্যার মতো গুরু গ্রন্থ সাহিবের পাঠ চলছিল। সেই পাঠের ব্যাঘাত ঘটে। চোখের পলকে কৃপাণ (তরোয়াল) হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্বর্ণমন্দিরের কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রাবন্ধিক কমিটি (SGPC)-র টাস্ক ফোর্স যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের হেড অফিস তেজা সিং সমুন্দ্রি হল-এ। ডেপুটি পুলিস কমিশনার পিএস ভণ্ডল জানান, অভিযুক্ত যুবককে সদর অফিস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়নি। তার আগেই ক্ষুব্ধ শিখ ধর্মাবলম্বীরা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Golden Temple: অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষে মৃত্যু যুবকের, ভাইরাল ভিডিয়ো
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করতে প্রশাসনকে যথাযথ তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পঞ্জাব সরকারের ধারণা, গোটা ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। পরিকল্পনা করেই স্বর্ণমন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। বিরোধীরাও এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় পঞ্জাব সরকার।
ভারতীয় জনতা পার্টি দাবি করে, সিবিআইকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করানো হোক। স্বর্ণমন্দিরের ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করেছে শিরোমণি আকালি দল (SAD)-ও।