মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ভালবাসেন না এ রকম মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্ত ভালবেসে মিষ্টি খাবার খাওয়া আর স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে মিষ্টি বেছে নেওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রথমটাতে ক্ষতি নেই কিন্তু পরের অভ্যেসটা যদি আপনার থাকে। তা হলে অবিলম্বে এই অভ্যেস ত্যাগ করুন। অনেকেই খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। কিন্তু এই অভ্যেস যখন বদ অভ্যেসে পরিণত হয় তখন বিপদ বাড়ে। যেমন অনেকেই খাবার খেয়ে উঠেই কেক, পেস্ট্রি বা কুকিজের দিকে হাত বাড়ান, বলা বাহু্ল্য এটা পেটের খিদে নয় বরং চোখের খিদে। এর ফলে আমাদের শরীরের হজমশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে।বাড়তে পারে ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা।অনেকে কোনও কারনে দুশ্চিন্তা বা উদ্বিগ্ন চাপমুক্ত হতে কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট বা প্রচুর পরিমাণে চিনি আছে এমন সব খাবার খান। আর একবার অভ্যেসে পরিণত হলে সহজে ছাড়ানো যায় না। আবার অনেক সময় সত্যি সত্যি চিনির প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরে।
সুগার ক্রেভিং, কোনটা প্রয়োজনীয় কোনটা অভ্যেসবশত এটা বোঝা দরকার। কী ভাবে বুঝবেন, এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিবেকার। পোস্টে এই বিষয়টি বুঝতে একটা থ্রি স্টেপ ফর্মুলার কথা বলেছেন রুজুতা।
View this post on Instagram
এক গ্লাস জল খান
প্রথমেই যখন কিছু মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হবে, তখন এক গ্লাস জল খান। জলে খেলে পেট ভরা লাগে। আর মিষ্টি কিছু খাওয়ার ইচ্ছেটাও অনেকটা কমে যায়। এই সময়গুলো তে যখন জলের তেষ্টা ও খিদে পাওয়ার মধ্যে আমরা গুলিয়ে ফেলি তখন হাত বাড়াই সহজলভ্যা ও মুখরোচক খাবারের দিকে। বিশেষ করে কেক, চকেলেটে, বা কুকিজের যেগুলোর মধ্যে চিনির পরিমানে প্রচুর থাকে। তাই খিদে খিদে পেলেই প্রথমে জল খেয়ে দেখুন হতেই পারে এই খিদে নেহাত চোখের খিদে।
তাজা ফল খান
যে কোনও ফলেই প্রচুর পরিমানে ন্যাচারাল সুগার ও নিউট্রিয়েন্টস থাকে।তাই মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলে টাটাকা ফল খান। এতে সুগার ক্রেভিং কমবে এবং আপনার সত্যি খিদে পেয়েছিল কিনা আপনি সেটা বুঝতে পারবেন।
মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করলে সেটাকে এইভাবে এড়িয়ে যান
মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। অনেক সময় এর ফলে হয়ত মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে কারনে- অকারনে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।